স্টাফ রিপোর্টার: হোলির পর দলীয় ইস্তাহার প্রকাশ করে রাজ্যে তৃণমূল প্রার্থীদের হয়ে প্রচারে নামবেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এটা পরীক্ষার মরশুম৷ বিভিন্ন বোর্ডের পরীক্ষা চলছে৷ তাই ছাত্রছাত্রীদের অসুবিধা করে কোনও বড় সভা, সমাবেশ করবেন না জানিয়ে সোমবার নবান্নে তিনি বলেছেন, “আমি ছাত্রছাত্রীদের অসুবিধা কখনও চাই না। তারাই ভবিষ্যৎ। এখন প্রার্থীরা মানুষের কাছে যাচ্ছেন। দলীয় ইস্তাহার প্রকাশ করে নিই। তারপর প্রচারে নামব।”
দোলের দিন ভোটারের মন গেরুয়ায় রাঙাতে মিঠাই-ঠান্ডাই হাতে ময়দানে বিজেপি
এদিন নবান্নে বিপর্যয় মোকাবিলা নিয়ে বৈঠক করেন মুখ্যমন্ত্রী। গত দু’দিনের ঝড়বৃষ্টিতে দু’জনের মৃত্যু হয়েছে। তাদের পরিবার আর্থিক ক্ষতিপূরণ পাবেন। কিন্তু অন্যান্য সরকারি জনমুখী প্রকল্পের কাজ কি চলবে? ইতিমধ্যেই বিরোধী দলগুলি এনিয়ে হইচই শুরু করেছে। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “যে প্রকল্পগুলি আগেই ঘোষণা হয়েছে, কাজ চলছে, সেগুলি চালু থাকবে। কিছু সমস্যার কথা আমার কানে এসেছে। রূপশ্রী প্রকল্প তো অনেক আগেই ঘোষিত। সমব্যথী প্রকল্প, যার মাধ্যমে কারও মৃত্যু হলে পরিবারের লোকজনকে ২০০০ টাকা দেওয়া হয়। তাও অনেক আগেই চালু হয়েছে। কার কখন মৃত্যু হবে, তা তো কেউ বলতে পারে না। আমি মনে করি আগেই চালু হওয়া এই প্রকল্পগুলোতে বাধা পড়া উচিত নয়। আমরা নির্বাচন কমিশনেও তা জানাচ্ছি।”
স্বাস্থ্যসাথী, খাদ্যসাথী, চাষিদের থেকে আলু কেনা, চা—বাগানের কর্মীদের জন্য বিভিন্ন প্রকল্পের উল্লেখ করে মুখ্যমন্ত্রী সোমবার নবান্নে বলেন, “ভোট বলে মানুষ যেন এসব সুযোগসুবিধা থেকে বঞ্চিত না হন, তা দেখতে হবে। এই সব প্রকল্প আটকালে মানুষেরই ক্ষতি হবে। আমি বঞ্চনা চাই না। আমি মনে করি, মানুষের অধিকার মানুষ পাক। ভোটের জন্য মানুষের স্বার্থ বিঘ্নিত হতে পারে না। আমরা নির্বাচন কমিশনকে সবটা বুঝিয়ে বলব।”দোল ও হোলির শুভেচ্ছা জানিয়ে মুখ্যমন্ত্রী রাজ্যের মানুষের কাছে শান্তির আবেদন করেছেন। তিনি বলেছেন, “সবাই রঙে মেতে উঠুন। শান্তি বজায় থাক। অশান্তি যেন না হয়। দোল এবং হোলিতে সরকার ছুটি দিয়েছে। উৎসবের রঙে রাঙা হোন মানুষ।”
নিজের নামের পার্কেই বানান বিভ্রাট, রেহাই পেলেন না সত্যজিৎ রায়ও
সোমবার নবান্নে প্রাকৃতিক বিপর্যয় মোকাবিলা নিয়ে একটি বৈঠক হয়। যেটুকু ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে ঝড়বৃষ্টিতে তা দ্রুত মেরামত করতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ভোটের জন্য যেমন ১০০ দিনের কাজ বন্ধ থাকে না, তেমনই প্রাকৃতিক বিপর্যয়ে ক্ষতিগ্রস্তদের পাশে দাঁড়াতেও কোনও বাধা থাকা উচিত নয়। কোথাও ঝুপড়ি পুড়েছে। ঘর ভেঙেছে। তাঁদের সাহায্য দেওয়া যাবে না, এমন নিয়ম নেই। এটা রাজনৈতিক কাজ নয়। সরকারের দায়বদ্ধতা।”
The post জনগণের কাজ যেন বন্ধ না হয়, কমিশনের কাছে আরজি জানাবেন মুখ্যমন্ত্রী appeared first on Sangbad Pratidin.