হেমন্ত মৈথিল, মহাকুম্ভ নগর: টানা ৪৫ দিন ধরে চলা মহাকুম্ভের শেষদিন। তার উপর মহাশিবরাত্রি। যাকে বলে ডবল ধামাকা। সেই দিন উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের চোখে ঘুম থাকে কী করে! বরং তিনি সেই ভোর চারটে থেকে কর্মব্য়স্ত। আদর্শ গৃহর্কতার মতোই প্রয়াগরাজের মহামেলার সব দিক তদারকি করলেন। তবে প্রত্যেক মহাস্নানের দিনেই ভোর চারটে থেকে ব্যবস্থাপনার দিকে নজর রেখেছেন যোগী।

বুধবার মুখ্যমন্ত্রী গোরক্ষপুরে থাকায় সেখানেই কন্ট্রলো রুম খোলা হয়েছিল প্রশাসনের তরফে। ভোর চারটে থেকে টিভির পর্দায় নজর রাখছিলেন যোগী। সঙ্গমে স্নানের পর পুণ্যার্থীরা প্রতিক্রিয়া শোনেন তিনি। প্রয়োজন মতো প্রশাসনের উচ্চ পদস্থ আধিকারিকদের নির্দেশও দেন। এর আগে বসন্ত পঞ্চমী, মাঘী পূর্ণিমার অমৃতস্নানের সময় কন্ট্রোল রুম থেকে মহাকুম্ভে নজর রেখেছিলেন যোগী। প্রতিবারের মতোই পুণ্যার্থীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার নির্দেশ উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী।
বুধবার মহাশিবরাত্রি উপলক্ষে পুণ্যার্থীদের বাড়তি আগ্রহ ছিল পুণ্যস্নানে। আসলে মহাকুম্ভের সঙ্গে মহাদেবের এক নিবিঢ় যোগ রয়েছে। সমুদ্রমন্থনে ভগবান শিবের ভূমিকা ছিল গুরুত্বপূর্ণ। আর মন্থনের অমৃতকুম্ভের বিন্দু দেশের চারটি স্থানে ক্ষরিত হয়। এই স্থানগুলি হল হরিদ্বার, নাসিক, প্রয়াগ ও উজ্জয়িনী। সেই প্রয়াগেই এবার ১৪৪ বছরের যোগ মহাকুম্ভে। ফলে পুণ্যার্থীরা এই মাহেন্দ্রক্ষণে সঙ্গমে ডুব দিতে প্রবল উৎসাহী ছিলেন। সরকারি তথ্য বলছে মঙ্গলবার রাত দুটোর সময় সঙ্গমে ডুব দেন ১১.৬৬ লক্ষ পুণ্যার্থী। যা পরবর্তী দুই ঘণ্টায় বেড়ে হয় ২৫.৬৪ লক্ষ। সকাল ৬টার মধ্যে তা হয় ৪১.১১ লক্ষ। মনে করা হচ্ছে আজ সারাদিনে এক কোটিরও বেশি মানুষ অমৃতস্নান করবেন।