সুকুমার সরকার,ঢাকা: ফণীর আতঙ্কে শুধু এপার বাংলাই নয়, কম্পমান ওপার বাংলাও৷ ক্যাটাগরি ফাইভ ঘূর্ণিঝড় শুক্রবারই বাংলাদেশের উপকূলীয় অঞ্চলে আছড়ে পড়ার আশঙ্কার কথা জানিয়েছেন আবহাওয়া দপ্তর৷ বলা হচ্ছে, গত ৪০ বছরের মধ্যে সবচেয়ে শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় হতে চলেছে ফণী৷ উপকূলের জেলা খুলনায় বৃহস্পতবিার সকাল থেকেই মেঘলা আবহাওয়া৷ নদীগুলিতে জোয়ারের জল স্বাভাবিকের চেয়ে অন্তত ৫ ফুট উপর দিয়ে বইছে৷ চরম আতঙ্কে ভাঙন কবলিত এলাকার মানুষজন৷
[ আরও পড়ুন : ফের হামলার হুঁশিয়ারি, বাংলায় নয়া ‘আমির’ নিয়োগ আইএসের]
ফণীর দাপটে ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে উপকূলীয় অঞ্চলের অন্তত ১৪টি জেলা৷ আবহাওয়া বিশেষজ্ঞদের মতে, শুক্রবার সকালে খুলনা উপকূলে আছড়ে পড়তে পারে ক্যাটাগরি ফাইভ লক্ষ্ণণযুক্ত ঘূর্ণিঝড়৷ আর সন্ধের দিকে তা দক্ষিণ-পশ্চিমের জেলাগুলিতে তাণ্ডব চালানোর আশঙ্কা৷ খুলনার মোংলা এবং পায়রা সমুদ্রবন্দরে জারি হয়েছে ৭ নং বিপদ সতর্কতা৷ নৌ পরিবহণ বন্ধ করার নির্দেশ দিয়েছে বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ নৌ চলাচল কর্তৃপক্ষ৷ সেনাপ্রধান জেনারেল আজিজ আহমেদ আশ্বাস দিয়েছেন, ‘বাংলাদেশ উপকূলীয় এলাকা ঘেঁষে ধেয়ে আসা ঘূর্ণিঝড় ফণী মোকাবিলায় সেনাবাহিনীর চূড়ান্ত প্রস্তুতি রয়েছে৷ দপ্তরের সব কর্মী, আধিকারিকদের সাপ্তাহিত ছুটি বাতিল করা হয়েছে৷ উপকূলের জেলাগুলিতে ১৯টি কন্ট্রোল রুম খোলা হয়েছে৷ ৫৬ হাজার স্বেচ্ছাসেবীকে প্রস্তুত রাখা হয়েছে৷ এছাড়া বাংলাদেশের রেড ক্রিসেন্ট, সশস্ত্র বাহিনী, দমকল বাহিনীর তরফেও কন্ট্রোল রুম খোলা হয়েছে৷ শুধুমাত্র চট্টগ্রামেই খোলা হয়েছে ৭৪০টি আশ্রয় শিবির৷’
[ আরও পড়ুন : নুসরত খুনের তদন্তে অবহেলা, ৪ পুলিশ আধিকারিককে শাস্তির সুপারিশ তদন্তকারীদের]
দেশবাসীকে সচেতন করতে লাগাতার মাইকিং চলছে৷ আবহাওয়া দপ্তরের খবর অনুযায়ী, ইতিমধ্যেই সর্বোচ্চ ১৬০ কিলোমিটার বেগে বইছে হাওয়া৷ তার বেগ ১৮০ কিলোমিটার পর্যন্ত বাড়তে পারে৷ বৃহস্পতিবার সকাল ৯টা নাগাদ ফণীর অবস্থান ছিল চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে মাত্র হাজার কিলোমিটার দূরত্বে, দক্ষিণ-পশ্চিম দিকে৷ এর আগেও একাধিকবার বাংলারদেশের উপকূল এলাকা একাধিক ঘূর্ণিঝড়ের সাক্ষী থেকেছে৷ ক্ষয়ক্ষতিও কম হয়নি সেখানে৷ বিশেষত চট্টগ্রাম, খুলনা জেলায় ক্ষতির পরিমাণ সবসময়েই বেশি হয়৷ সবমিলিয়ে, ফণীর আসন্ন আগমনে ওপার বাংলাও ত্রস্ত৷
The post ঘূর্ণিঝড় ফণীর আতঙ্কে ত্রস্ত বাংলাদেশ, উপকূলবর্তী ১৪ জেলায় জারি সতর্কতা appeared first on Sangbad Pratidin.