চন্দ্রজিৎ মজুমদার, কান্দি: নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় জেলবন্দি মামা। আবার কলকাতা হাই কোর্টের নির্দেশে চাকরিহারা SSC গ্রুপ সি কর্মী মা। তারই মাঝে বাড়ি থেকে উদ্ধার যুবতীর ঝুলন্ত দেহ। কেন চরম সিদ্ধান্ত নিলেন তিনি, তা নিয়ে চলছে জোর আলোচনা। মায়ের চাকরি হারানো এবং মামার গ্রেপ্তারির জন্যই কী মানসিক অবসাদে আত্মহত্যার পথ বেছে নিলেন যুবতী, উঠছে সে প্রশ্নও।
রিয়াঙ্কা ঘোষ নামে বছর কুড়ির ওই যুবতী মুর্শিদাবাদের বড়ঞা থানার কোগ্ৰামে থাকতেন। বীরভূমের লাভপুর কলেজের বিএ প্রথম বর্ষের ছাত্রী ছিলেন। রবিবার নিজের ঘরেই ছিলেন রিয়াঙ্কা। ভিতর থেকে দরজা বন্ধ ছিল। বহুক্ষণ দরজা না খোলায় পরিবারের লোকজনের সন্দেহ হয়। শুরু হয় ডাকাডাকি। তবে কোনও সাড়াশব্দ পাওয়া যায়নি যুবতীর। তাই বাধ্য হয়ে দরজা ভাঙা হয়। ভিতরে নজর পড়তেই কার্যত শিউরে ওঠেন পরিবারের সদস্যরা। তাঁরা দেখেন, গলায় ওড়নার ফাঁস লাগিয়ে ঝুলছেন রিয়াঙ্কা। খবর পাওয়ামাত্রই পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছয়। দেহ উদ্ধার করে কান্দি মহকুমা হাসপাতালে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়।
[আরও পড়ুন: ‘কাজ না করলে বড়বাবুকে ঘেরাও করব’, পুলিশকে ‘লাস্ট ওয়ার্নিং’ দিয়ে বিতর্কে সিদ্দিকুল্লা]
প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান, আত্মঘাতী হয়েছেন রিয়াঙ্কা। কী কারণে আত্মঘাতী হলেন তিনি, তা এখনও স্পষ্ট নয়। এদিকে, স্থানীয়দের বক্তব্য অনুযায়ী, রিয়াঙ্কার মা বিভা ঘোষ লাভপুর সত্যনারায়ণ উচ্চবালিকা বিদ্যালয়ের ক্লার্ক ছিলেন। মামা কৌশিক ঘোষ দিনকয়েক আগে নিয়োগ দুর্নীতিতে গ্রেপ্তার হন। তার জেরে মানসিক অবসাদে ভুগছিলেন রিয়াঙ্কা। সে কারণে আত্মঘাতী হয়েছেন তিনি। তবে পুলিশ পুরো বিষয়টি খতিয়ে দেখছে।