সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: হিন্দু ধর্মের (Hindu Religion) দেবদেবীকে ‘অপমানে’র জের। শ্রীঘরে গুজরাটের এক কমেডিয়ান-সহ অনুষ্ঠানের চার আয়োজক। নতুন বছরের প্রথমদিন ইন্দোরে একটি কফিশপে স্ট্যান্ডআপ কমেডি শোয়ের আয়োজন করা হয়। সেই অনুষ্ঠানে হিন্দু দেবদেবীর পাশাপাশি কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে নিয়েও বিতর্কিত মন্তব্য করার অভিযোগ উঠেছে।
বিজেপি বিধায়ক মালিনী গৌরের ছেলে তথা হিন্দ রক্ষক সংগঠনের প্রধান একলব্য গৌর ওই কমেডিয়ানের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেন। ধৃত হাস্যকৌতুক শিল্পীর নাম মুনোয়ার ফারুকি। তিনি গুজরাটের বাসিন্দা। গ্রেপ্তার হয়েছেন ওই কফিশপের কর্মী প্রখর ব্যাস, প্রিয়ম ব্যাস, নলিন যাদব এবং অনুষ্ঠানের কো-অর্ডিনেটর এডুইন অ্যান্টনি। তাঁদের ১৩ জানুয়ারি অবধি বিচারবিভাগীয় হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে জেলা আদালত।
[আরও পড়ুন : করোনার হটস্পটে পরিণত বিলাসবহুল এই পাঁচতারা হোটেল, আক্রান্ত ৮৫ জন]
জানা গিয়েছে, ইন্দোরের এক জনপ্রিয় কফিশপে স্ট্যান্ডআপ কমেডি শোয়ের আয়োজন করা হয়েছিল। সেখানে দর্শকাসনে উপস্থিত ছিলেন হিন্দ রক্ষক সংগঠনের সদস্যরাও। তাঁদের অভিযোগ, অনুষ্ঠানের শুরু থেকেই রসিকতার নামে হিন্দু দেবদেবী, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ ও গোধরা কাণ্ড নিয়ে একের পর এক বিতর্কিত মন্তব্য করছিলেন মুনোয়ার ফারুকি। সেই মন্তব্যের বিরোধিতা করে সঙ্গে সঙ্গে অনুষ্ঠান বন্ধের আরজি জানান হিন্দ রক্ষক সংগঠনের সদস্যরা। কিন্তু তাতে কান দেয়নি কফিশপ কর্তৃপক্ষ। পুরো অনুষ্ঠানের রেকর্ডিং নিয়ে পরে পুলিশের দ্বারস্থ হন তাঁরা।
তাঁদের অভিযোগের ভিত্তিতে পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। অভিযোগ, আদালতে নিয়ে যাওয়ার সময় ধৃতদের হেনস্তা করেন একলব্য গৌর ও তাঁর সাঙ্গপাঙ্গরা। যদিও সেই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন তাঁরা। এদিকে, কফিশপের ওই অনুষ্ঠানে কোভিডবিধি মানা হচ্ছিল না বলে অভিযোগ করেছেন একলব্যের বিধায়ক বাবা। তাঁর কথায়, অনুষ্ঠান আয়োজনের আগে কোনও অনুমতি নেওয়া হয়নি। ছোট্ট কফিশপে প্রায় ১০০ জন উপস্থিত ছিল, যা কোভিডবিধিকে লঙ্ঘন করেছে।
[আরও পড়ুন : এবার মিসড কলেই বুক হবে রান্নার গ্যাস, মিলবে এলপিজির নয়া কানেকশনও, কীভাবে?]
অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ২৯৫(ক) ধারায় ধর্মীয় ভাবাবেগকে আঘাত, ২৬৯ ধারা-সহ একাধিক ধারায় মামলা করেছে মধ্যপ্রদেশ পুলিশ। এই ঘটনায় ফের একবার বিজেপি সরকারের বিরুদ্ধে অসহিষ্ণুতার অভিযোগ তুলেছে ওয়াকিবহাল মহল। তাঁদের কথায়, ধর্মের নামে শিল্পীদের স্বাধীনতাহরণের চেষ্টা চালাচ্ছে গেরুয়া শিবির ও ডানপন্থী সংগঠনের সদস্যরা।