বাবুল হক, মালদহ: বিয়ের দিন উধাও হবু বর। সঙ্গে কনের সাড়ে ছ’লক্ষ টাকা। দিনভর খুঁজেও মিলল না হবু বরের হদিশ। শেষপর্যন্ত বিয়ের দিন অর্থাৎ বুধবার ‘প্রতারক’ হবু বরের খোঁজে থানার দ্বারস্থ হলেন হবু করেন পরিবার। মালদহের ইংরেজ বাজার থানায় দায়ের করলেন অভিযোগও।
[আরও পড়ুন: দুর্গাপুজোর একমাস আগেই হবে বিশাল মিছিল, শঙ্খ-উলুধ্বনি দেবেন মা-বোনেরা: মমতা]
প্রায় তিনবছর আগে পত্রিকায় ‘পাত্র চাই’ বিজ্ঞাপন দিয়েছিলেন মহিলা স্বাস্থ্যকর্মী পুজা সেনের পরিবার। অবসরপ্রাপ্ত সেনাকর্মীর মেয়ে পুজার বাড়ি আলিপুরদুয়ার শহর এলাকায়। সেই বিজ্ঞাপনের সূত্র ধরেই পুজার সঙ্গে ফোনে পরিচয় হয় সুমন মজুমদারের। মালদহ শহরের সর্বমঙ্গলাপল্লি বাসিন্দা সুমন জানিয়েছিলেন, তিনি রায়গঞ্জ কলেজের অধ্যাপক। দুজনেরই দুজনকে পছন্দ হয়েছিল। ঘনিষ্ঠতা বাড়ে দুজনের। যদিও পুজার বাবার দাবি, সুমন বাইরেই মেয়ের সঙ্গে দেখা করতেন। বারবার বলা সত্ত্বেও বাড়িতে আসতেন না।
অভিযোগ, বিয়ের কথা উঠলেই এড়িয়ে যেতেন সুমন। নানা অছিলায় বিয়ের দিন পিছিয়ে দিতে শুরু করেন তিনি। অথচ বিয়ের খরচের নাম করে পুজার থেকে ক্রমাগত টাকা নিচ্ছিলেন সুমন। হবু কনের পরিবারের দাবি, ইতিমধ্যে ৬ লক্ষ ৬০ হাজার টাকা নিয়েছেন সুমন। বহু টানাপোড়েনের পর অবশেষে বিয়ের দিন ঠিক হয় ২ ফেব্রুয়ারি। কিন্তু তার পর থেকে সুমনের সঙ্গে ফোনে আর যোগাযোগ করা যাচ্ছিল না। বিয়ের দিন সকালেও হবু বরের খোঁজ না পেয়ে বাবা-মাকে নিয়ে আলিপুরদুয়ার থেকে মালদহে চলে আসেন পুজা। শুরু হয় সুমনের খোঁজ। কিন্তু সেই খোঁজ মেলেনি। শেষপর্যন্ত ইংরেজবাজার থানায় এসে ‘প্রতারক’ সুমনের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করলেন তাঁরা।
[আরও পড়ুন: বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় তৃণমূলের চেয়ারপার্সন নির্বাচিত মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়]
এ প্রসঙ্গের মেয়েটির পরিবারের দাবি, “বিয়ের খরচের নাম করে মেয়ের থেকে ৬ লক্ষ ৬০ হাজার টাকা নিয়েছিল সুমন মজুমদার। পত্রিকায় ‘পাত্র চাই’ বিজ্ঞাপনের সূত্র দিয়ে যোগাযোগ করেছিল সে। মেয়ের সঙ্গে কথা বলত, দেখা করত। বারবার বললেও বাড়ি আসত না।” এবার তাঁর খোঁজে পুলিশের দ্বারস্থ হলেন পুজা ও তার পরিবার।