রূপায়ণ গঙ্গোপাধ্যায়: রাত পোহালেই মহালয়া। দুর্গাপুজো নিয়ে এখনও মতান্তর জারি বিজেপির অন্দরে। নিজের অবস্থানে অনড় দিলীপ ঘোষ এখনও পুজোয় বিশেষ আগ্রহী নন। এদিকে নবনিযুক্ত রাজ্য বিজেপি সভাপতি সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumder) পুজোর পক্ষেই।
গতবছর অর্থাৎ ২০২০ সালে করোনা আবহে হাই কোর্টের সমস্ত নির্দেশ মেনেই সল্টলেকের ইজেডসিসিতে দুর্গাপুজোর (Durga Puja 2021) আয়োজন করেছিলেন বিজেপির নেতা-কর্মীরা। ধুতি-পাঞ্জাবি পরে একেবারে বাঙালি বেশেই দুর্গাপুজোর ভারচুয়াল উদ্বোধন করেন নরেন্দ্র মোদি। একুশের নির্বাচনকে সামনে রেখে কলকাতায় দুর্গাপুজোর আয়োজন বিজেপির ‘মাস্টারস্ট্রোক’ বলেই মনে করেছিলেন অনেকে। তবে ভোটে বিপর্যয়ের পর এবার আর পুজো হবে কি না, তা নিয়ে সংশয় ছিলই।
[আরও পডুন: পুজোর আগেই হাতে আসছে অনুদান, উদ্যোক্তাদের আর্থিক সাহায্যের অনুমোদন দিল রাজ্য সরকার]
গত সপ্তাহে বিজেপির তরফে জানানো হয়েছিল, বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়েছে যে এবারও পুজো করা হবে ইজেডসিসিতে (EZCC)। তবে তা নিতান্তই নমো নমো করে। পুজো বন্ধ করলে আমজনতার মধ্যে ভুল বার্তা যেতে পারে বলেই মনে করছেন দলের একাংশ। সুকান্ত মজুমদার জানিয়েছেন, পুজো করার পক্ষেই তিনি। নিয়ম মেনে এবারও পুজো হবে বলে জানিয়েছেন তিনি। তবে দিলীপ ঘোষের মত ভিন্ন। শোনা যাচ্ছে, ইজেডসিসিতে দুর্গাপুজো করার বিশেষ পক্ষপাতী নন তিনি। যদিও এবিষয়ে মঙ্গলবার দিলীপবাবু বলেন, দুর্গাপুজোর বিরোধী তিনি নন। তবে কোনও রাজনৈতিক দলের কাজ নয় পুজোর আয়োজন করা।
দুর্গাপুজো নিয়ে রাজ্য বিজেপির দুই শীর্ষ নেতার ভিন্ন মত নিয়ে সমালোচনা শুরু হয়েছে রাজনৈতিক মহলে। এই ঘটনার তীব্র নিন্দা করেছেন তৃণমূলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ (Kunal Ghosh)। যদিও মতান্তর সত্ত্বেও এবছর ফের ইজেডসিসিতে দুর্গাপুজোর আয়োজন শুরু হয়েছে। কারণ, নিয়ম অনুযায়ী একবার পুজোর সংকল্প করা হলে তিনবার পুজো করতেই হয়।