সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: রাত পোহালেই ফলপ্রকাশ। তার আগে বুথফেরত সমীক্ষাগুলোতে নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বাধীন বিজেপি তথা এনডিএ জোটের বিশাল জয়ের আভাস মিলেছে। যদিও ওই সমীক্ষাকে নস্যাৎ করেছেন ইন্ডিয়া জোটের নেতারা। এই অবস্থায় 'একতাই বল' মন্ত্রে ইন্ডিয়া জোটের নেতারা কংগ্রেসের (Congress) ডাকে আগামিকাল একত্রিত হচ্ছেন রাজধানীতে। সূত্রের খবর, বিরোধি শিবিরের বৈঠক নিয়ে সদর্থক মনোভাব দেখিয়েছেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। জানা গিয়েছে, মঙ্গলবার ফল ঘোষণার পরে কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গের (Mallikarjun Kharge) নেতৃত্বে বিরোধী শিবিরের বৈঠকে নির্ধারিত হবে পরবর্তী কৌশল। ভোটে বিপর্যয়ে কোন পথ? তাও আলোচনা হবে।
উল্লেখ্য, অধিকাংশ বুথফেরত সমীক্ষার দাবি, এনডিএ জোট সাড়ে তিনশো কিংবা তার বেশি আসন পেতে পারে। প্রত্যাশিতভাবেই যাবতীয় ‘এক্সিট পোল’ খারিজ করেছে কংগ্রেস। দলের ‘প্রধান মুখ’ রাহুল গান্ধী দাবি করেছেন, “যে বুথফেরত সমীক্ষা বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে প্রকাশ করা হচ্ছে সেটা কাল্পনিক। এটা মোদি-সমীক্ষা।” ইন্ডিয়া জোটের দাবি, তারা ২৯৫ আসন পেতে চলেছে। তথাপি যে কোনওরকম পরিস্থিতি জন্য তৈরি থাকছে বিরোধী শিবির। সেই সূত্রেই আগামিকাল সন্ধ্যায় বৈঠকের ডাক।
[আরও পড়ুন: আবগারি দুর্নীতির অঙ্ক ১১০০ কোটি টাকা! কবিতার বিরুদ্ধে বিস্ফোরক চার্জশিট ইডির]
ফলপ্রকাশের পরে পরেই বৈঠকে বসবেন ইন্ডিয়ার জোটের নেতারা। যদি প্রত্যাশা অনুযায়ী ফল না হয়, ২৯৫ কিংবা কাছাকাছি সংখ্যক আসনে পৌঁছতে না পারা যায়, তবে কেমন প্রতিক্রিয়া দেখাবে বিরোধী দলগুলি... এই বিষয়ে আগামিকালের বৈঠকে আলোচনা হবে বলে জানা গিয়েছে। ভোটে বিপর্যয় ঘটলে নির্বাচন কমিশনের পক্ষপাতদুষ্ট ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলে প্রতিবাদ দেখানো হবে। এছাড়াও সাংবাদিক সম্মেলন করবেন বিরোধী শিবিরের নেতারা। এদিকে কংগ্রেস সূত্রে খবর, ফলপ্রকাশের পরদিন অর্থাৎ বুধবার দিল্লি যেতে পারেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তবে সবটাই নির্ভর করছে আগামিকালের কী ফল হয় তার উপরে।