সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বাল্মীকি জয়ন্তীতে রাজধানীর মন্দির মার্গের বাল্মীকি মন্দিরে রামায়ণের রচয়িতার বন্দনায় লোকসভার বিরোধী দলনেতা রাহুল গান্ধী। বৃহস্পতিবার ভোরে ওই মন্দিরে যান রাহুল। প্রার্থনা করেন তিনি। কংগ্রেসের দাবি, মহার্ষি বাল্মীকির জন্মদিনে তাকে শ্রদ্ধা জানাতে গিয়েছিলেন কংগ্রেস নেতা। যদিও বিশ্লেষকদের বক্তব্য, দেশের বর্তমান রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে নেতা-মন্ত্রীদের দেবদর্শন, পূজাপাঠ রাজনৈতিক এজেন্ডারই অংশ। মহারাষ্ট্র ও ঝাড়খণ্ডে ভোটের আগে রাহুলের বাল্মীকি ভক্তি তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করা হচ্ছে।
মন্দির মার্গের মহার্ষির বাল্মীকির মন্দিরে রাহুলের প্রার্থনার ছবি সোশাল মিডিয়ায় পোস্ট করেছে খোদ কংগ্রেস। দলের সোশাল মিডিয়া হ্যান্ডেলের ওই পোস্টে দেখা গিয়েছে মন্দিরের পূজারি কংগ্রেস নেতাকে উত্তরীয় পরিয়ে সম্মান জানাচ্ছেন। আরও একটি ছবিতে তিনি রাহুলকে মন্দিরের সংগ্রহে থাকা একটি ছবি দেখাচ্ছেন, যেটি মহাত্মা গান্ধীর ঐতিহাসিক চিত্র। এই মন্দিরের একটি কক্ষে টানা ২০০ দিন কাটিয়ে ছিলেন মহাত্মা। সেই ঘরটিকে ঘুরিয়ে দেখানো হয় রাহুলকে।
উল্লেখ্য, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ভোটপ্রচার শুরু করেন কাশি বিশ্বনাথ মন্দিরে পুজো দিয়ে। রামমন্দির নিয়ে তাঁর আবেগ সকলেরই জানা, সম্প্রতি সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতির বাড়িতে গণেশ পুজোতেও দেখা গিয়েছে মোদিকে। এমনকী কদিন আগে তাঁর লেখা গর্বার নতুন গান প্রকাশ্যে এসেছে। দিল্লির প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তথা আপ নেতা অরবিন্দ কেজরিওয়ালকেও বারবার দেখা গিয়েছে, ভোটের মুখে হনুমান মন্দিরে পুজো দিতে। মহারাষ্ট্রে ভোটের মুখে রাহুলের বাল্মীকি ভক্তির পিছনেও রাজনৈতিক অঙ্ক দেখছেন বিশেষজ্ঞরা। কেন?
মহর্ষি বাল্মীকি হিন্দু সমাজে প্রধানত রামায়ণের রচয়িতা হিসেব পরিচিত হলেও, দলিতদের কাছে তিনি পূজ্য দেবতা। পশ্চিম ভারতে দলিতদের অন্যতম বড় উপগোষ্ঠী হল বাল্মীকি সম্প্রদায়। রামায়ণ রচয়িতা তাঁদের সম্প্রদায়ের মানুষ ছিলেন বলে গর্ব করেন ওই দলিতরা। অন্যদিকে মহারাষ্ট্র ও ঝাড়খণ্ডে সামনেই ভোট। যেখানে দলিত ভোটব্যাঙ্কের উপরে অনেকটাই নির্ভর করবে নির্বাচনে হার-জিত। এই পরিস্থিতিতে রাহুল গান্ধীর বাল্মীকি মন্দির দর্শন তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করা হচ্ছে।