সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: আটকে দেওয়া হয়েছিল তাঁর কনভয়। অবশেষে আকাশপথে মণিপুরে পৌঁছলেন কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী। তিনি মণিপুর সরকারের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলেছেন তাঁকে ঢুকতে না দেওয়ার জন্য। তবে পরে তিনি চপারে উপদ্রুত অঞ্চলে গিয়ে সেখানকার ত্রাণ শিবিরগুলি পরিদর্শন করেন। পরে সোশ্যাল মিডিয়ায় রাহুল জানিয়েছেন, হিংসার আবহেও তাঁকে স্বাগত জানিয়েছেন সেখানকার বাসিন্দারা।
দু’দিনের জন্য সেরাজ্যে পৌঁছেছেন রাহুল। আর তারপরই টুইটারে কংগ্রেসের প্রাক্তন সভাপতি লিখেছেন, ”আমি মণিপুরে এসেছি আমার সব ভাইবোনদের কথা শুনতে। সব সম্প্রদায়ের মানুষই অত্যন্ত অতিথি বৎসল। সরকার যেভাবে আমাকে আটকাতে চাইছিল তা অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক। মণিপুরের শুশ্রূষা প্রয়োজন। শান্তিই আমাদের একমাত্র অগ্রাধিকার।”
[আরও পড়ুন: ভোটের মুখে কেন্দ্রীয় বাহিনী নিয়ে নয়া পরিকল্পনা TMC’র, কী জানালেন কুণাল?]
বৃহস্পতিবার সকালে ইম্ফল পৌঁছন কংগ্রেস নেতা। বিমানবন্দর থেকেই হিংসার উৎপত্তিস্থল চূড়াচাঁদপুরের উদ্দেশে বেরিয়ে পড়েন তিনি। কিন্তু মাত্র ২০ কিলোমিটার এগোতেই তাঁর কনভয় আটকে দেওয়া হয়। মে মাসে এই চূড়াচাঁদপুরের একটি মিছিল থেকেই হিংসার সূত্রপাত। তারপর থেকেই গোটা মণিপুর অশান্ত হয়ে উঠেছে।
রাজ্যের সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত জেলাগুলির মধ্যে অন্যতম এই চূড়াচাঁদপুর। এখানে তিনশোরও বেশি ত্রাণশিবির খোলা হয়েছে। অন্তত ৫০ হাজার মানুষ সেখানে আশ্রয় নিয়েছেন। গত প্রায় দু’মাস ধরে জ্বলছে মণিপুর। এহেন পরিস্থিতিতেও রাহুলকে দেখতে ভিড় জমান বিশাল সংখ্যক মানুষ। তাঁদের হটাতে কাঁদানে গ্যাস ছুঁড়েছে পুলিশ, এমনটাও শোনা গিয়েছে। কংগ্রেসের তরফে বলা হয়, মণিপুরের মুখ্যমন্ত্রী তো হিংসা বিধ্বস্ত এলাকায় যাননি, কিন্তু রাহুল গান্ধী সেখানে হাজির।