বুদ্ধদেব সেনগুপ্ত: চব্বিশের লোকসভা ভোটের (Lok Sabha Election) আগে ফের বিরোধী বৈঠকের তোড়জোড়। আগামী মাসে সিমলা নয়, বেঙ্গালুরুতে (Bengaluru) হবে বিরোধীদের বৈঠক। তার দিনক্ষণও স্থির হয়ে গিয়েছে। বৃহস্পতিবার এনসিপি সুপ্রিমো শরদ পাওয়ার তা ঘোষণা করেছেন। আগামী ১৩ ও ১৪ জুলাই বেঙ্গালুরুতে লোকসভা নির্বাচনের রণকৌশল স্থির করতে বসবেন বিজেপি বিরোধী দলের নেতানেত্রীরা। এর আগে ২৩ জুন পাটনায় (Patna) বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমারের নেতৃত্বে প্রথম বৈঠকটি হয়েছে ১৭ দলকে নিয়ে। সেখানে হাজির ছিলেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। তাঁর সঙ্গে ছিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় এবং ফিরহাদ হাকিম। তবে আগামী মাসের বৈঠকে তাঁরা বেঙ্গালুরুতে যাবেন কি না, তা এখনও অজানা। আর আগামী বৈঠকে সবচেয়ে তাৎপর্যপূর্ণ বিষয় হতে চলেছে এই যে এবার নেতৃত্ব দেবেন কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গে।
তবে কি বিরোধী জোট গঠনের রাশ সেই নিজেদের হাতে রাখতে মরিয়া কংগ্রেস (Congress)? জুলাই মাসে বেঙ্গালুরুতে বিরোধীদের দ্বিতীয় বৈঠকে দলের সভাপতি খাড়গের সভাপতিত্বের খবর অন্তত সেই প্রশ্নই তুলে দিচ্ছে। প্রথমে ঠিক হয়েছিল, আগামী ১৪ জুলাই সিমলায় হবে বিরোধী দলগুলির বৈঠক। কিন্তু বৃহস্পতিবার এনসিপি সুপ্রিমো শরদ পওয়ার (Sharad Pawar)ঘোষণা করেন, সিমলা নয়, বৈঠক হবে বেঙ্গালুরুতে। আর তা হবে মল্লিকার্জুন খাড়গের নেতৃত্বের। তাতেই প্রশ্ন উঠে গিয়েছে, তবে কি শেষপর্যন্ত বিরোধী জোটের ‘নেতা’ হতে চাইছে কংগ্রেসই? যা নিয়ে আপ (AAP)-সহ একাধিক বিরোধী দলের আপত্তি রয়েছে।
[আরও পড়ুন: ভোটের মুখে কেন্দ্রীয় বাহিনী নিয়ে নয়া পরিকল্পনা TMC’র, কী জানালেন কুণাল?]
আপের তরফে অরবিন্দ কেজরিওয়াল (Arvind Kejriwal) বরাবরই কংগ্রেসকে নিয়ে আপত্তি তুলেছেন। এমনকী ২৩ জুন পাটনার বৈঠকে মল্লিকার্জুন খাড়গের সঙ্গে কেজরিওয়াল বাকবিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়েন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় উদ্যোগী হয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করেন। তারই মধ্যে নতুন জট পেকেছে আপ অভিন্ন দেওয়ানি বিধি সমর্থন করায়। কেজরিওয়ালের এই ভূমিকায় প্রশ্ন তুলেছে কংগ্রেস। তাদের সাফ হুঁশিয়ারি, পরবর্তী বিরোধী বৈঠকে যোগ দেওয়ার আগে এ বিষয়ে নিজেদের অবস্থান যেন স্পষ্ট করে আপ। সবমিলিয়ে, বেঙ্গালুরুর বৈঠকে কতটা বিরোধী ঐক্যের ছবি দেখা যাবে, সেই সংশয় থাকছে।