রূপায়ণ গঙ্গোপাধ্যায়: বিতর্কের মধ্যেই বিধানসভায় বিধায়ক পদে শপথ নিলেন সাগরদিঘি উপনির্বাচনে জয়ী কংগ্রেস প্রার্থী বায়রন বিশ্বাস (Bayron Bishwas)। বিধানসভার নৌসার আলি কক্ষে কংগ্রেস বিধায়ককে শপথবাক্য পাঠ করান স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়। শাসকদলের তরফে উপস্থিত ছিলেন মন্ত্রী সন্ধ্যারানি টুডু। বিজেপির বেশ কয়েকজন বিধায়ক উপস্থিত ছিলেন। কংগ্রেসের (Congress) তরফে উপস্থিত ছিলেন দুই প্রাক্তন বিধায়ক অসিত মিত্র, নেপাল মাহাতো।
আসলে কংগ্রেস বিধায়কের শপথের পরই তাঁকে বেনজিরভাবে ফুল দিয়ে অভিনন্দন জানানো হয় বিজেপির তরফে। একগুচ্ছ ফুল দিয়ে কংগ্রেস বিধায়ককে অভিনন্দন জানান বিজেপির তিন বিধায়ক বঙ্কিম ঘোষ, সত্যেন রায়, অম্বিকা রায়। বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari) এদিন বিধানসভায় আসতে পারেননি। তবে শুভেন্দুর নির্দেশেই ওই তিন বিজেপি বিধায়ক বায়রনকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন বলে খবর। তাৎপর্যপূর্ণভাবে শাসকদলের তরফে পরিষদীয় মন্ত্রী, বিধানসভার দলনেতা বা মুখ্য সচেতকরা শপথ অনুষ্ঠানে অনুপস্থিত ছিলেন।
[আরও পড়ুন: ‘পোলাও আছে, ঘিয়ের জন্য ঘেউ ঘেউ করছে’, মনোরঞ্জন ব্যাপারীর নিশানায় DA আন্দোলনকারীরা]
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) ভোটের পরই অভিযোগ করেছিলেন, বায়রন বিশ্বাস বিজেপির লোক। কংগ্রেস তাঁকে প্রার্থী করেছে। আর বামেরা সমর্থন করে জিতিয়েছে। তৃণমূল বলছে, মুখ্যমন্ত্রীর অভিযোগ যে সত্যি, সেটা প্রমাণ হয়ে গেল বায়রনের শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানের মঞ্চে। যদিও বিজেপি সূত্রে বলা হচ্ছে, এটা নেহাতই সৌজন্য বিনিময়। নতুন বিধায়ককে ফুল দিয়ে অভিনন্দন জানানোর মধ্যে রাজনীতি খোঁজা উচিত নয়।
[আরও পড়ুন: ‘পোলাও আছে, ঘিয়ের জন্য ঘেউ ঘেউ করছে’, মনোরঞ্জন ব্যাপারীর নিশানায় DA আন্দোলনকারীরা]
উল্লেখ্য, শপথের আগেই বিতর্কে জড়িয়েছেন সাগরদিঘির কংগ্রেস বিধায়ক। তৃণমূল কংগ্রেস নেতা সঞ্জয় জৈনকে গালিগালাজ ও প্রাণনাশের হুমকি দেওয়ার অভিযোগে তাঁকে অবিলম্বে গ্রেপ্তারির দাবি জানান তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ (Kunal Ghosh)। দরকারে শপথ নিতে যাওয়ার পথেই তাঁকে গ্রেপ্তারির দাবি জানানো হয় তৃণমূলের তরফে। যদিও শেষ পর্যন্ত বায়রনের শপথ নির্বিঘ্নেই মিটেছে।