সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: কর্ণাটক (Karnataka) বিধানসভা ভোটে ভরাডুবি হয়েছে বিজেপির (BJP)। ভোটে হেরেছেন বিগত সরকারের ১১ জন মন্ত্রী তথা ডাকসাইটে গেরুয়া নেতারা। এঁদের অন্যতম হিজাব নিষেধাজ্ঞার মুখ বিসি নাগেশ। এবারের নির্বাচনে হিজাব ইস্যু যে বড় ভূমিকা নিতে পারে তেমনটাই মনে করছিল ওয়াকিবহাল মহল। যদিও ফলাফলে সব ক্ষেত্রে তা প্রতিফলিত হয়নি। নাগেশ হারলেও উদ্দুপিতে বিজেপি প্রার্থী যশপাল সুবর্ণা, যিনি ডাক দিয়েছিলেন ‘নো হিজাব নো স্কুল’, তিনি কিন্তু জিতে গিয়েছেন। অন্যদিকে কংগ্রেসের (Congress) ফতিমা শেখ বিজেপির চন্দ্রকান্ত বি পাতিলকে হারিয়ে কর্ণাটক বিধানসভায় একমাত্র মুসলিম মহিলা হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন। বছরখানেক আগে তিনি হিজাব নিষেধাজ্ঞার বিরোধী আন্দোলনের মুখ ছিলেন।
গত ফেব্রুয়ারিতে যখন হিজাব বিতর্ক তুঙ্গে, সেই সময়ই ফতিমাকে দেখা গিয়েছিল কালাবুর্গিতে জেলাশাসকের অফিসের সামনে হওয়া বিক্ষোভে নেতৃত্ব দিতে। তাঁর দাবি ছিল, এই নিষেধাজ্ঞা মেয়েদের উপরে চাপিয়ে দেওয়া হচ্ছে এবং তাদের শিক্ষার অধিকারকে অস্বীকার করা হচ্ছে। এবারের ভোটে তিনি ছিলেন কংগ্রেসের আট মুসলিম প্রার্থীর অন্যতম। শেষ পর্যন্ত ৪৩ শতাংশেরও বেশি ভোট একা পেয়ে জিতে গেলেন ফতিমা।
অন্যদিকে উদ্দুপিতে কিন্তু বিজেপি প্রার্থী জয়ী হলেন। ৫৮.৫ শতাংশ ভোট একাই পেয়েছেন যশপাল সুবর্ণা। তিনি যেখানে একাই পেয়েছেন ৯৭ হাজার ৭৯টি ভোট। সেখানে তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী কংগ্রেস প্রার্থী প্রসাদরাজ কাঞ্চন মাত্র ৩৩ হাজার ভোট পেয়েছেন।
[আরও পড়ুন: সাত মাসে ৪ রাজ্যে হার, চাপ নাড্ডার উপর! খাড়গে সভাপতি হতেই সাফল্যের সরণিতে কংগ্রেস]
উল্লেখ্য, কর্ণাটক সরকার গত বছরের ৫ ফেব্রুয়ারি একটি নির্দেশিকা জারি করে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে হিজাব পরা নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছিল। তারপর থেকেই সেরাজ্যে হিজাব ইস্যুতে বিক্ষোভ শুরু হয়ে যায়। বিশেষ করে উদুপ্পি জেলায় বিক্ষোভের জেরে স্কুল-কলেজগুলি রীতিমতো রণক্ষেত্রের রূপ ধারণ করেছিল। বিক্ষোভের জেরে বেশ কয়েকদিন স্কুল-কলেজ বন্ধও রাখতে হয় কর্ণাটক সরকারকে। সেই মামলার ভিত্তিতে কর্ণাটক হাই কোর্ট (Karnataka High Court) জানিয়ে দেয়, যতদিন না হিজাব সংক্রান্ত মামলার নিষ্পত্তি হচ্ছে, ততদিন হিজাব-সহ কোনও ধরনের ধর্মীয় পোশাক পরা যাবে না স্কুল ও কলেজে।