বুদ্ধদেব সেনগুপ্ত: প্রদেশ নেতৃত্বের একাংশের সীমাহীন অপদার্থতা। ভোটার তালিকায় ব্যাপক গরমিল। এক ভোটে দু’রকমের ভোটার তালিকা। ফলে সোমবার কংগ্রেসের সভাপতি নির্বাচনকে (Congress Presidential Election) কেন্দ্র করে গন্ডগোলের সম্ভাবনা। পরিস্থিতি উত্তপ্ত হওয়ার আশঙ্কায় ভোট চলাকালীন বিধান ভবনের সামনে পুলিশ মোতায়েনের আবেদন প্রদেশ নেতৃত্বের। সব রাজ্যে যখন এআইসিসির (AICC) দেওয়া পরিচিতিপত্র দেখিয়ে ভোট দেওয়ার ব্যবস্থা হয়েছে তখন একমাত্র বঙ্গে আধার অথবা ভোটার কার্ড দেখিয়ে ভোট দিতে হবে প্রদেশ কংগ্রেস সদস্যদের।
দীর্ঘ ২২ বছর পর কংগ্রেসের সভাপতি নির্বাচন। নিরপেক্ষ ও স্বচ্ছ ভোট করতে যখন তৎপর এআইসিসি তখন চূড়ান্ত অব্যবস্থা বিধান ভবনে (Bidhan Bhaban)। সূত্রের খবর, সভাপতি নির্বাচনে ভোটাধিকার প্রয়োগ করেন প্রদেশ কংগ্রেস ও এআইসিসির সদস্যরা। বাংলায় ভোটার সংখ্যা ৫৫০এর কাছাকাছি। কিন্তু প্রচার চলাকালীন প্রদেশ কংগ্রেসের তরফে দুই প্রতিদ্বন্দ্বী মল্লিকার্জুন খাড়গে ও শশী থারুরের হাতে যে ভোটার তালিকা তুলে দেওয়া হয়েছে, তাতে ৮৭২ জনের নাম রয়েছে। উপদেশ কংগ্রেসের সদস্য না হওয়া সত্ত্বেও অনেক ব্লক সভাপতির নাম ভোটার তালিকায় ঢুকিয়ে দেওয়ার ফলেই এই বিপত্তি।
[আরও পড়ুন: ‘রাজা হতে চাইছেন, নীতি মানছেন না, ED তো পিছনে লাগবেই’, বেফাঁস তৃণমূলের তারকা বিধায়ক চিরঞ্জিৎ]
অন্যদিকে, প্রদেশ কংগ্রেসের থেকে পাওয়া ভোটার তালিকায় নাম থাকা প্রত্যেকের কাছে ভোট চেয়ে বার্তা পাঠিয়েছেন মল্লিকার্জুন খাড়গে (Mallikarjun Kharge) ও শশী থারুর (Shashi Tharoor)। ফলে ভোটার তালিকায় নাম না থাকলেও দুই প্রার্থীর বার্তা পেয়েছেন ৩০০ বেশি কংগ্রেসের নেতা-কর্মী। এঁদের অনেকেই ভোট দিতে আসবেন। কিন্তু বিধান ভবনে পৌঁছনোর পর জানতে পারবেন, তাঁদের ভোটাধিকারই নেই। ফলে পরিস্থিতি উত্তপ্ত হওয়ার প্রবল সম্ভাবনা। পরিস্থিতি সামাল দিতে আপাতত ভোটার বা আধার কার্ড দেখিয়ে ভোট দেওয়া যাবে বলে সিদ্ধান্ত নিয়েছে প্রদেশ কংগ্রেস। সমন্বয়ের অভাবেই এমন ঘটনা ঘটেছে বলে স্বীকার করেছে প্রদেশ নেতৃত্ব। আবার এআইসিসির দেওয়া পরিচয়পত্র অনেক ভোটারের কাছে পৌঁছয়নি বলেও অভিযোগ। তাই ভোটার ও আধার কার্ড দেখিয়ে ভোটদানের ব্যবস্থা করা হয়েছে বলে প্রদেশের তরফে জানানো হয়েছে।
[আরও পড়ুন: আতঙ্কের নাম পিটবুল! গাজিয়াবাদে এই প্রজাতির কুকুর পোষায় জারি হল নিষেধাজ্ঞা]
সভাপতি নির্বাচনকে কেন্দ্র করে সোমবার প্রদেশের ক্ষমতাসীন ও বিরোধী গোষ্ঠীর নেতা কর্মীরা বিধান ভবনে ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে আসবে। ফলে যে কোনও সময় গন্ডগোল শুরু হয়ে যেতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছে বিধান ভবনের একাংশ। পরিস্থিতি পর্যালোচনা করেই অশান্তি এড়াতে পুলিশ মোতায়েনের আবেদন জানানো হয়েছে বলে বিধান ভবন সূত্রে খবর।