সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: চেপে দেওয়া হয়েছে দেশের কোভিড সংক্রমণ সংক্রান্ত তথ্য ও পরিসংখ্যান। দেশের করোনা পরিস্থিতি ‘স্বাভাবিক’ দেখাতেই এমন করা হয়েছে। এজন্য প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi), প্রাক্তন স্বাস্থ্যমন্ত্রী হর্ষ বর্ধন ও অন্যান্য সংশ্লিষ্ট বাকিদের বিরুদ্ধে বিচারবিভাগীয় তদন্ত শুরু করা হোক। কেন্দ্রের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক অভিযোগ তুলে এমনই দাবি করল কংগ্রেস। ‘নিউ ইয়র্ক টাইমস’-এর একটি প্রতিবেদনকে তুলে ধরেই তারা এই অভিযোগ করেছে।
কী বলা হয়েছে ওই প্রতিবেদনে? সেখানে আইসিএমআরের কয়েকজন প্রাক্তন বিজ্ঞানীর উদ্ধৃতি তুলে ধরে দাবি করা হয়েছে দেশের করোনা সংক্রমণ ও মৃত্যুর তথ্যে রাজনৈতিক প্রভাব খাটানো হয়েছে। কংগ্রেসের সিনিয়র মুখপাত্র অজয় মাকেনের দাবি, এটা অত্যন্ত গুরুতর অভিযোগ। দেশের শীর্ষ আদালত বা অন্য কোনও উচ্চ আদালতের অধীনে তা তদন্ত করে দেখা হোক। এক সাংবাদিক সম্মেলনে তিনি বলেন, ”এই ভুয়ো প্রচার না হলে আমরা হয়তো অসংখ্য মানুষের প্রাণ বাঁচাতে পারতাম। আর সেই জন্য়ই এবিষয়ে ফৌজদারি তদন্ত শুরু করা উচিত।”
[আরও পড়ুন: শেষরক্ষা হল না কলকাতায় এসেও, করোনায় প্রয়াত ত্রিপুরা সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক]
কেন্দ্র অবশ্য এই প্রতিবেদনের দাবিকে উড়িয়ে দিয়েছে। নীতি আয়োগের স্বাস্থ্য বিভাগের সদস্য ভিকে পালের দাবি, এই রিপোর্ট ভিত্তিহীন। আইসিএমআর প্রধান বলরাম ভার্গব এমন অভিযোগকে উড়িয়ে দিয়েজানিয়েছেন, ”ভারত যখন কোভিড মোকাবিলা ও টিকাকরণে রীতিমতো সাফল্য পাচ্ছে, সেই সময় উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ভাবে এই রিপোর্ট প্রকাশ করা হয়েছে।”
যদিও কংগ্রেস জানিয়েছে, এই বিষয়ে তদন্তের দাবিতে আগামিদিনে পথে নামতে পারে তারা। এমনকী সংসদেও বিষয়টি উত্থাপন করার হতে পারে। এদিকে করোনা আর মাসছয়েকের মধ্যেই নিয়ন্ত্রণে এসে যাবে বলেই দাবি কেন্দ্রের। ন্যাশনাল সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোলের ডিরেক্টর সুজিত সিং এমনটাই জানিয়েছেন। শীর্ষস্থানীয় এই গবেষকের মন্তব্যে আশার আলো দেখছে স্বাস্থ্যমন্ত্রক। ইতিমধ্যে ৭৬ কোটি ৫৭ লক্ষেরও বেশি মানুষ ভ্যাকসিনের আওতায় এসে গিয়েছেন। শুক্রবার অর্থাৎ প্রধানমন্ত্রীর জন্মদিন দেশে টিকাকরণে রেকর্ড গড়ার টার্গেট নিয়েছে কেন্দ্র।