সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: দীর্ঘ অপেক্ষার পর শোনা যাচ্ছে ২০২৫ সালে শুরু হতে চলেছে দেশব্যাপী জনগণনার কাজ। এই জনগণনার সঙ্গেই জাতগণনা হবে কিনা তা দেশবাসীর কাছে স্পষ্ট করার দাবি জানাল কংগ্রেস। সোমবার কংগ্রেস নেতা জয়রাম রমেশ মোদি সরকারের উপর চাপ বাড়িয়ে দাবি করলেন, অবিলম্বে এই ইস্যুতে আলোচনার জন্য সর্বদল বৈঠক ডাকা হোক।
সোমবার এক্স হ্যান্ডেলে জয়রাম রমেশ লেখেন, আদমশুমারি কমিশনার তথা রেজিস্টার জেনারেল মৃত্যুঞ্জয় কুমার নারায়ণের মেয়াদ নতুন করে বাড়িয়েছে মোদি সরকার। এর অর্থ ২০২১ সালে যে জনগণনা হওয়ার ছিল তা শীঘ্রই হতে চলেছে। তবে দুটি বিষয় এখনও স্পষ্ট নয়। তা হল নয়া জনগণনার সঙ্গে কি জাতগণনাও হবে? ১৯৫১ সাল থেকে এতদিন ধরে যেটা হয়ে আসছে। নাকি এই জনগণনা লোকসভায় নির্দিষ্ট কিছু রাজ্যের শক্তি বৃদ্ধি করার জন্য করা হবে? এক্ষেত্রে জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণে এগিয়ে থাকা রাজ্যগুলি সমস্যার মুখে পড়বে না তো? এই সব প্রশ্নের উত্তর স্পষ্ট করার জন্য সর্বদল বৈঠক ডাকার দাবি তোলেন জয়রাম রমেশ।
জানা গিয়েছে, ২০২৫ সালে শুরু হবে জনগণনা। এক বছর ধরে এই আদমসুমারি চলবে। ২০২৬ সালে জনগণনার রিপোর্ট প্রকাশিত হবে বলে প্রাথমিকভাবে জানা গিয়েছে। তফসিলি জাতি-উপজাতি এবং অসংরক্ষিতদের মধ্যেও যে বিভাগ রয়েছে, সেগুলো উল্লেখ করা হবে আগামী জনগণনাতে। তাছাড়াও এতদিন ধরে যেসমস্ত ক্যাটেগরি ছিল, সেগুলোও থাকবে। তবে জাতিগত জনগণনা হবে না বলেই শোনা যাচ্ছে। এই আদমসুমারি শেষ হওয়ার পরেই শুরু হবে লোকসভা আসনগুলোর পুনর্বিন্যাস। ২০২৯ সালে নির্বাচনের আগেই নতুন লোকসভা কেন্দ্রগুলো গঠিত হবে বলে সূত্রের খবর।
এদিকে জনগণনার সঙ্গে জাতগণনার দাবি তুলে দীর্ঘদিন ধরে সরব কংগ্রেস-সহ ইন্ডিয়া জোটের শরিক দলগুলি। এনডিএ শরিক দল এলপিজি প্রধান সাংসদ চিরাগ পাসওয়ান, জেডিইউ প্রধান নীতীশ কুমার বার বার জাতগণনার দাবিতে সরব হয়েছেন। এমনকি খোদ আরএসএসও জাতগণনার পক্ষে মত দিয়েছেন। বিহার-সহ দেশের একাধিক রাজ্যও আলাদা আলাদাভাবে জাত গণনার পথে হেঁটেছে। তবে ঘরে বাইরে প্রবল চাপের মুখে পড়লেও এই ইস্যুতে এখনও পর্যন্ত উচ্চবাচ্য করেনি মোদি সরকার।