সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: কর্নাটকের (Karnataka) মাণ্ড্য জেলায় ১০৮ ফুট উঁচু খুটিতে বজরংবলীর পতাকা নিয়ে তীব্র উত্তেজনা। মান্ডিয়া তালুকের কেরেগোডু গ্রামে রামমন্দিরের প্রাণ প্রতিষ্ঠা উপলক্ষে ওই পতাকা উত্তোলন করা হয়েছিল। রবিবার সেই পতাকা সরাতে গিয়ে জনতার বিক্ষোভের মুখে পড়ে স্থানীয় প্রশাসন। ইতিমধ্যে ঘটনায় রাজনৈতিক রং লেগেছে। স্থানীয় হিন্দু অধিবাসীদের পাশাপাশি আসরে নেমেছেন বিজেপি (BJP) এবং আরজেডি (RJD) নেতা-কর্মীরা। শাসক দল কংগ্রেসের বিরুদ্ধে ‘হিন্দু বিরোধী’ অভিযোগ এনে বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন তারা। সব মিলিয়ে এলাকায় উত্তজনা চরমে। এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
২২ জানুয়ারি অযোধ্যায় রামমন্দির উদ্বোধন হয়েছে। রামলালার প্রাণ প্রতিষ্ঠা উৎসবে অংশ নেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। সেই উপলক্ষেই মান্ডিয়া তালুকের কেরেগোডু গ্রামে ১০৮ ফুট উঁচু খুটিতে বজরংবলীর পতাকা টাঙানো হয়েছিল। স্থানীয় প্রশাসন পতাকা সরানোর চেষ্টা করতেই ক্ষুব্ধ হয় হিন্দু সংগঠন, বিজেপি নেতা-কর্মী এবং স্থানীয়রা। তাঁরা বিক্ষোভ দেখান। রবিবার বিকেল ৩টে নাগাদ পুলিশের সঙ্গে আধিকারিকরা পতাকা সরাতে গ্রামে গিয়েছিলেন। তখনই গ্রামবাসীরা পতাকার খুঁটির কাছে জড়ো হন এবং আপত্তি জানান। শেষ পর্যন্ত জনতাকে ছত্রভঙ্গ করতে পুলিশ লাঠিচার্জ করে।
[আরও পড়ুন: বজরংবলীর পতাকা নামানো নিয়ে উত্তেজনা, ক্ষমতাসীন কংগ্রেসকে ‘হিন্দু বিরোধী’ তোপ বিজেপির]
এদিকে পুলিশের দাবি, গ্রাম পঞ্চায়েত জাতীয় পতাকা ছাড়া অন্য ধর্মীয় বা রাজনৈতিক পতাকা উত্তোলনের অনুমতি দিতে অস্বীকার করেছিল। যদিও গ্রামবাসী এবং স্থানীয় হিন্দুত্ববাদীরা বজরংবলীর পতাকা উত্তোলন করেন। বিক্ষোভ চলাকালীন বিরোধী নেতা আর অশোক, প্রাক্তন উপ-মুখ্যমন্ত্রী অশ্বত্থনারায়ণ এবং চালভাদি নারায়ণস্বামী-সহ বেশ কয়েকজন বিজেপি নেতাকে পুলিশ আটক করেছে। এলাকায় এখনও উত্তেজনা রয়েছে।