সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: তৈরি হওয়ার কয়েকমাসের মধ্যেই ধাক্কা ইন্ডিয়া জোটে (INDIA Alliance)। কংগ্রেস সাফ জানিয়ে দিল, লোকসভা নির্বাচনে দিল্লির প্রত্যেকটি আসনেই প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবে তারা। তবে জোট শরিকের এহেন মন্তব্য একেবারেই ভালভাবে নেয়নি আপ শিবির। অরবিন্দ কেজরিওয়ালের দলের মতে, ইন্ডিয়া শিবিরের বৈঠকে যোগ দেওয়াটাই আসলে অর্থহীন। মহাজোটের পরবর্তী বৈঠকে আপ নেতাদের যোগদান নিয়েও প্রশ্ন উঠ গিয়েছে।
২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনে বিজেপিকে রুখতে তৈরি হয়েছিল বিরোধীদের মহাজোট। তবে শুরু থেকেই নানা ইস্যুতে আপের সঙ্গে মতবিরোধ ছিল কংগ্রেসের (Congress)। তবে শেষ পর্যন্ত দীর্ঘদিনের অবস্থান বদলে অর্ডিন্যান্স বিলে আপের (AAP) পাশে দাঁড়ায় হাত শিবির। কিন্তু দুই দলের সাময়িক সৌহার্দ্যে ফাটল ধরা পড়ল বুধবার। লোকসভা নির্বাচনের আগে দলের নেতাদের সঙ্গে বৈঠকে বসেন মল্লিকার্জুন খাড়গে, রাহুল গান্ধী, কেসি বেণুগোপাল-সহ কংগ্রেসের বেশ কয়েকজন শীর্ষ নেতা।
[আরও পড়ুন: বাম-তৃণমূল ছাত্র সংগঠনের সংঘর্ষে উত্তাল যাদবপুর, ছিঁড়ল রাজন্যার জামা, অজ্ঞান TMCP নেত্রী]
বৈঠকের পরেই কংগ্রেস নেত্রী অলকা লাম্বা বলেন, “তিন ঘণ্টা ধরে বৈঠক হয়েছে। লোকসভা নির্বাচনের জন্য আমাদের প্রস্তুতি নিতে নির্দেশ দিয়েছেন রাহুল গান্ধী-সহ সকল নেতারা। দিল্লির (Delhi) সাতটি লোকসভা আসনেই প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি আমরা। নির্বাচনের এখনও সাত মাস দেরি আছে। এই সময়ের মধ্যেই দিল্লির সাতটি আসনে লড়াই করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে দলীয় কর্মীদের।”
এই মন্তব্য প্রকাশ্যে আসতেই পালটা দিয়েছে টানা দু’বার দিল্লিতে সরকার গড়া আপ। নেত্রী প্রিয়াঙ্কা কক্কর বলেন, “আমাদের সঙ্গে জোট না করার সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেছে কংগ্রেস। এহেন পরিস্থিতিতে ইন্ডিয়া জোটের আগামী বৈঠকে আমাদের উপস্থিত থাকার কোনও অর্থ নেই। দলের শীর্ষ নেতৃত্ব সিদ্ধান্ত নেবেন, আদৌ ওই বৈঠকে আপ যোগ দেবেন কিনা।” দিল্লির মন্ত্রী সৌরভ ভরদ্বাজ অবশ্য বলেন, আপের কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব এই বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে। ইন্ডিয়া জোটের দলগুলির সঙ্গে আলোচনা হবে আসন বন্টন নিয়ে। তবে লোকসভা নির্বাচন পর্যন্ত কংগ্রেস-আপ একই জোটের শরিক থাকতে পারবে কিনা, তা নিয়ে বড়সড় প্রশ্ন উঠেছে।