সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: প্রাক্তন প্রধান বিচারপতি রঞ্জন গগৈর (Ranjan Gogoi) বিরুদ্ধে ওঠা যৌন নির্যাতনের তদন্ত বন্ধ করার নির্দেশ দিল সুপ্রিম কোর্ট। এই অভিযোগের পিছনে বড়সড় ‘ষড়যন্ত্র’ থাকতে পারে বলেও মনে করছে আদালত। তবে তা নিয়ে এদিন নতুন করে আর তদন্তের নির্দেশ দেয়নি আদালত। উল্লেখ্য, যৌন হেনস্তা মামলায় আগেই রঞ্জন গগৈকে ক্লিনচিট দিয়েছিলেন বিচারপতিরা।
রঞ্জন গগৈয়ের বিরুদ্ধে ওঠা এই অভিযোগের পিছনে বড় কোনও যড়যন্ত্র রয়েছে কি না তা খতিয়ে দেখছিল বিচারপতি এ কে পট্টনায়েকের কমিটি। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে তৈরি হয়েছিল এই কমিটি। সেই কমিটির রিপোর্টের উপর ভিত্তি করেই শীর্ষ আদালত এদিন নিজের মতামত জানাল। এ কে পট্টনায়েকের কমিটির সেই রিপোর্টে ষড়যন্ত্রের তত্ত্বের উল্লেখ রয়েছে।
[আরও পড়ুন : মৎস্যজীবীদের সমস্যা বুঝতে মাঝসমুদ্রে যেতে চান, পুদুচেরিতে ইচ্ছাপ্রকাশ রাহুল গান্ধীর]
বিচারপতি এ কে পট্টনায়েক কমিটির রিপোর্টে বলা হয়েছে, অসমের এনআরসি নিয়ে কঠোর অবস্থান নিয়েছিলেন গগৈ। তাঁর এই অবস্থানের জন্য রঞ্জন গগৈয়ের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র হয়ে থাকতে পারে। উল্লেখ্য, প্রধান বিচারপতি রঞ্জন গগৈয়ের ভাবমূর্তি নষ্ট করার ষড়যন্ত্র চলছে বলে দাবি করেছিলেন দিল্লির আইনজীবী উৎসব বেইন্স। তিনি বলেছিলেন, প্রধান বিচারপতিকে কালিমালিপ্ত করার উদ্দেশে মামলা লড়ার জন্য তাঁকে দেড় কোটি টাকার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল। তারপরই প্রধান বিচারপতির বিরুদ্ধে ‘ষড়যন্ত্র’ মামলার বিচারবিভাগীয় তদন্তের আরজি জানান তিনি।
উল্লেখ্য, দেশের শীর্ষ আদালতের প্রধান বিচারপতি রঞ্জন গগৈয়ের বিরুদ্ধে কোনও ‘ষড়যন্ত্র’ চলছে কি না খতিয়ে দেখতে সিবিআই-এর দুই যুগ্ম অধিকর্তা, দিল্লি পুলিশ প্রধান এবং ইন্টেলিজেন্স ব্যুরোর কর্তারা দায়িত্ব পেয়েছিলেন। কিন্তু গগৈর বিরুদ্ধে যৌন হেনস্তার কোনও প্রমাণ মেলেনি। বরং এদিন আদালত বলেছে, ইন্টেলিজেন্স ব্যুরোর ডিরেক্টর রিপোর্টে লেখা হয়েছে, “এনআরসি সম্পর্কিত মামলাগুলিতে বিচারপতি গগৈ গুরুতর কঠোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তাঁর এই সিদ্ধান্তে অনেকে অসন্তুষ্ট বলে বিশ্বাস করার যথেষ্ট কারণ রয়েছে।”