সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সমলিঙ্গ বিবাহ (Same-Gender Marriages) ভারতের সামাজিক নৈতিকতার পরিপন্থী। সুপ্রিম কোর্টে (Supreme Court) হলফনামা দিয়ে আগেই জানিয়েছিল কেন্দ্র। গতকাল সমলিঙ্গের বিবাহকে ‘শহুরে এলিটদের তত্ত্ব’ বলে উল্লেখ করা হয় কেন্দ্রের তরফে। এইসঙ্গে এই বিবাহের আইনি বৈধতা সংক্রান্ত সমস্ত পিটিশন খারিজের আবেদন করেছিল কেন্দ্র। কার্যতা মামলার গ্রহণযোগ্যতা নিয়েই প্রশ্ন তোলা হয়েছে। কেন্দ্রের সেই ‘প্রাথমিক আপত্তি’ মঙ্গলবারের শুনানিতে খারিজ করল শীর্ষ আদালত।
সমলিঙ্গ বিবাহের বৈধতা সংক্রান্ত মামলা চলছে প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়, বিচারপতি এসকে কাউল, বিচারপতি এস রবীন্দ্র ভাট, বিচারপতি হিমা কোহলি এবং বিচারপতি পিএস নরসিমার বেঞ্চে। এদিন কেন্দ্রের আপত্তি খারিজ করে দিয়েছে বিচারপতিদের বেঞ্চ। প্রাথমকিভাবে মামলার গ্রহণযোগ্যতা নিয়েই প্রশ্ন তুলেছিল কেন্দ্র। এছাড়াও এই বিবাহের আইনি বৈধতা সংক্রান্ত সমস্ত পিটিশন খারিজেরও আবেদন করা হয়েছিল কেন্দ্রের তরফে।
[আরও পড়ুন: সম্পত্তির পরিমাণ ১৬০০ কোটি, কৃষি ও ব্যবসা আয়ের উৎস, হলফনামা কর্ণাটকের মন্ত্রীর]
সলিসিটার জেনারেল তুষার মেহতা দাবি করেন, প্রাথমিকভাবেই এই মামলার গ্রহণযোগ্যতা রয়েছে কিনা, তা নিয়েই প্রশ্ন রয়েছে। শুনানিতে বিষয়টির বিস্তারিত গুরুত্ববিচার প্রয়োজন কিনা, তা পরবর্তী প্রসঙ্গ। যদিও বিচারপতিদের বেঞ্চ স্পষ্ট করে দেয়, কেন্দ্রের মামলা খারিজের আবেদনের সঙ্গে তাঁরা একমত নন। এরপর এই বিষয়ে তুষার মেহতা একাধিক যুক্তি দেওয়া শুরু করলে থামিয়ে দেন এক বিচারক। রীতিমতো কঠিন সুরে বলেন, “বিষয়টা আমার উপর ছেড়ে দিন। আমরা ব্যবস্থা নেব। এটা আমার আদালত, এখানে এসব চলবে না।” তুষার তর্যা চালিয়ে গেলে এক বিচারক প্রশ্ন করেন, “আপনি কি মামলা লড়তে চান না?” সলিসিটার জেনারেল উত্তর দেন, “ততটাও বলিনি।” শেষ পর্যন্ত খারিজ হয় মামলার প্রাথমিক গ্রহণযোগ্যতা নিয়ে কেন্দ্রের প্রশ্ন।
[আরও পড়ুন: জোর করে শারীরিক সম্পর্ক! চাঞ্চল্যকর দাবি ৪ সহকর্মীকে খুনে ধৃত ভাটিন্ডার জওয়ানের]
২০১৮ সালের ৬ সেপ্টেম্বর ঐতিহাসিক রায় দিয়েছিল শীর্ষ আদালত। সমকামী সম্পর্ক অপরাধ নয়, ঘোষণা করেছিল সুপ্রিম কোর্ট। তবে সমকামী সম্পর্ক বৈধ হলেও সমলিঙ্গ বিয়ে এখনও আইনি বৈধতা পায়নি ভারতে। দাবি উঠেছে বিশেষ বিবাহ আইনের আওতায় সমকামী বিবাহকে আইনি স্বীকৃতি দিতে হবে। এই সংক্রান্ত একধিক পিটিশন জমা পড়েছে দিল্লি, গুজরাট এবং কেরল হাই কোর্টে। সমস্ত মামলা একত্রে করে শীর্ষ আদালতে শুনানি শুরু হয়। পাশাপাশি এই প্রসঙ্গে কেন্দ্রের মতামত জানতে চায় সুপ্রিম কোর্ট। তাতেই আপত্তি জানিয়েছে কেন্দ্র।