shono
Advertisement

পদ্মা সেতুর উপর চলবে ট্রেনও, জানালেন বাংলাদেশের রেলমন্ত্রী

জোরকদমে চলছে পদ্মা নদীর উপর সেতু তৈরির কাজ।
Posted: 03:17 PM Oct 17, 2020Updated: 03:17 PM Oct 17, 2020

সুকুমার সরকার, ঢাকা: জোরকদমে চলছে পদ্মা নদীর উপর সেতু তৈরির কাজ। শনিবার সেতুর শেষ স্প্যানটি বসানোর কাজও শেষ হয়েছে। এদিন সকালে মাওয়ার কুমারভোগ কনস্ট্রাকশন ইয়ার্ডে এই ফিটিংয়ের কাজ শেষ হয়। এ নিয়ে পদ্মা সেতুর ৪১টি স্প্যানের সবগুলোই প্রস্তুত হয়ে গিয়েছ। ২০২২ সালে সেই কাজ শেষ হয়ে যাবে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশের রেলমন্ত্রী নুরুল ইসলাম সুজন। ২০২২ সালের ডিসেম্বর মাসে জনতার জন্য খুলে দেওয়া হবে সেই সেতু। প্রথম দিন থেকেই সেখানে গাড়ির সঙ্গে রেল যোগাযোগও চালু হবে। বৃহস্পতিবার পদ্মা সেতুর রেল প্রকল্পের কাজ পরিদর্শনে এসে এই কথা জানান রেলমন্ত্রী।

Advertisement

[আর পড়ুন: ‘এ দেশে আর কেউ না খেয়ে থাকবে না’, বিশ্ব খাদ্য দিবসে অঙ্গীকার শেখ হাসিনার]

রেলমন্ত্রী নুরুল ইসলাম জানিয়েছেন, রাজধান ঢাকা থেকে মাওয়া পর্যন্ত পদ্মা সেতুর ৪৬ শতাংশ রেলের কাজ ও জাজিরা থেকে ফরিদপুর পর্যন্ত সেতুর ৫৫ শতাংশ কাজ শেষ হয়ে গিয়েছে। একই সঙ্গে সড়কপথ ও রেলপথের কাজ চলছে বলেই জানিয়েছেন তিনি। রেলমন্ত্রী আরও জানান, এই সেতু না থাকায় এতদিন মানুষকে প্রচুর সমস্যর মুখ পড়তে হয়েছে। পদ্মার প্রচণ্ড স্রোতের ফলে কিংবা কখনও কুয়াশার ফলে ফেরি চলাচল বন্ধ থাকায় সমস্যায় পড়তে হত সাধারণ মানুষকে। কিন্তু এই সেতু একবার তৈরি হয়ে গেলে আর কোনও সমস্যার মধ্যে পড়তে হবে না কাউকে। শুধু তাই নয়, এর ফলে অর্থনৈতিক উন্নতিও হবে বলে জানিয়েছেন তিনি। রেলমন্ত্রীর কথায়, পদ্মার উপর এই সেতু তৈরি হলে বাংলাদেশের জিডিপি প্রায় ২ শতাংশ বাড়বে।

উল্লেখ্য, বাংলাদেশের পদ্মা নদীর উপর নির্মাণাধীন এই সেতুটি বহুমুখী সড়ক ও রেল সেতু। এর মাধ্যমে লৌহজং, মুন্সিগঞ্জের সাথে শরিয়তপুর ও মাদারীপুর যুক্ত হবে। ফলে দেশের দক্ষিণ-পশ্চিম অংশের সঙ্গে উত্তর-পূর্ব অংশের সংযোগ ঘটবে। বাংলাদেশের মত উন্নয়নশীল দেশের জন্য পদ্মা সেতু ইতিহাসের একটি সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জিং নির্মাণ প্রকল্প বলেই মত বিশ্লেষকদের। দুই স্তর বিশিষ্ট ষ্টিল ও কংক্রিট নির্মিত ট্রাস ব্রিজটির (truss bridge) ওপরের স্তরে থাকবে চার লেনের সড়ক পথ এবং নিচের স্তরটিতে থাকবে একটি একক রেলপথ। পদ্মা-ব্রহ্মপুত্র-মেঘনা নদীর আববাহিকায় ১৫০মিটার দৈর্ঘ্যর ৪১টি স্পান বসবে, ৬.১৫০ কিলোমিটার দৈর্ঘ্য এবং ১৮.১০ মিটার প্রস্থ পরিকল্পনায় নির্মিত হচ্ছে দেশটির সবচেয়ে বড় সেতু।

[আর পড়ুন: করোনা আবহে বাংলাদেশে দুর্গাপুজোয় প্রসাদ বিতরণ, শোভাযাত্রায় জারি নিষেধাজ্ঞা]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement