অভিষেক চৌধুরী, কালনা: চৈতন্যদেবের সফল উত্তরাধিকারী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। পূর্ব বর্ধমানের পূর্বস্থলীতে এমনই দাবি করলেন শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু। যা নিয়ে স্বাভাবিকভাবেই বিতর্ক শুরু হয়েছে বিভিন্ন মহলে। ‘কার সঙ্গে তুলনা করছেন ভেবে করুন। ওঁদের অপমান করবেন না।’, কটাক্ষ দিলীপ ঘোষের।
মঙ্গলবার পূর্ব বর্ধমানের পূর্বস্থলী ১ নম্বর ব্লকের খাল-বিল-চুনোমাছ উৎসবে যোগ দিয়েছিলেন শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু। নাদনঘাটের ওই এলাকা চৈতন্যদেবের স্পর্শধন্য সেকথা স্মরণ করানোর পাশাপাশি এদিন শিক্ষামন্ত্রী বলেন, “চৈতন্যদেব সর্বধর্ম সমন্বয়ের কথা বলেছিলেন। সবাইকে সঙ্গে রাখার কথা বলেছলেন। মমতাদিও সবাইকে সঙ্গে নিয়ে চলেন। কোনও বিভাজনের রাজনীতি, কোনও ভেদাভেদের রাজনীতি, মানুষকে দূরে সরিয়ে দেওয়ার রাজনীতি তিনি করেন না। চৈতন্যদেবের সার্থক উত্তরাধিকারী যদি বাংলায় থেকে থাকে তবে তিনি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।” রাজ্যের একাধিক প্রকল্পের কথাও তুলে ধরেন তিনি।
[আরও পড়ুন: দিল্লিতে ইজরায়েল দূতাবাসের কাছে বিস্ফোরণ, মিলল গাজায় হামলার ‘বদলা’র চিঠি!]
ব্রাত্য বসু আরও বলেন, “নারীশক্তি, নারীশিক্ষা, স্বাধীনতা, অধিকার রক্ষায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিঃশব্দ বিপ্লব ঘটিয়েছেন।” পাশাপাশি তিনি উল্লেখ করেন মুখ্যমন্ত্রী মেয়েদের অর্থনৈতিক দিক থেকে কীভাবে স্বনির্ভর করে তুলেছেন। এ দিনের অনুষ্ঠান থেকে বিজেপিকেও এক হাত নেন ব্রাত্য। উল্লেখ্য, এলাকার বিদ্যানগরে একটি ল’কলেজ তৈরির উদ্যোগ নিয়েছেন মন্ত্রী স্বপন দেবনাথ। এই ব্যাপারে একটি প্রস্তাবও পাঠানো হয়েছে। এদিন উৎসব যোগ দেওয়ার আগে শিক্ষামন্ত্রী সেই জায়গা পরিদর্শন করেন। এ বিষয়ে শিক্ষামন্ত্রী জানান, “কলেজটা হওয়া দরকার। যত তাড়াতাড়ি সম্ভব সেটা করার চেষ্টা করা হবে।” অন্যদিকে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে আগামী লোকসভা নির্বাচনে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে ৩৫-৪০ টা আসনে তৃণমূল কংগ্রেস পাবে বলে আশাপ্রকাশ করেন ব্রাত্য বসু।