মনিরুল ইসলাম, উলুবেড়িয়া: পরিবারের বেশ কয়েকজন স্বাস্থ্যসাথী কার্ড করানোয় লাগাতার শাসকদলের কটাক্ষের শিকার হতে হচ্ছে রাজ্য বিজেপির সভাপতি দিলীপ ঘোষকে। নানাবিধ প্রশ্নের সম্মুখীনও হতে হচ্ছে তাঁকে। এই পরিস্থিতিতে খানিকটা অন্যরকম সুর শোনা গেল মেদিনীপুরের সাংসদের গলায়। বললেন, তিনি স্বাস্থ্যসাথীর কার্ডের বিরোধী নন!
পরিবারের সদস্যরা স্বাস্থ্যসাথী কার্ড করানো নিয়ে প্রশ্ন করা হলে দিলীপ বলেন, ‘‘আমি স্বাস্থ্যসাথীর কার্ডের বিরোধিতা করছি না। আমি সরকারের প্রতারণার বিরোধিতা করছি। স্বাস্থ্যসাথী কার্ড করার সুযোগ পেলে আমিও করব।’’ পাশাপাশি নিজের অবস্থানে অনড় থেকে তিনি প্রশ্ন ছুঁড়ে দেন, “কার্ড পেলেন অথচ সুযোগ পেলেন না, তাহলে স্বাস্থ্যসাথীর কার্ড মাথায় নিয়ে শুয়ে থাকলে কি জ্বর কমবে?”
[আরও পড়ুন:উদ্বেগ বাড়াচ্ছে সেই কলকাতা-উত্তর ২৪ পরগনা, ফের ঊর্ধ্বমুখী রাজ্যের কোভিড গ্রাফ]
উল্লেখ্য, রাজ্য বিজেপির সভাপতি দিলীপ ঘোষের আদি বাড়ি ঝাড়গ্রামের (Jhargram) গোপীবল্লভপুরের কুলিয়ানা গ্রামে। এখনও সাংসদের মা, ভাই-সহ পরিবারের সদস্যরা সেখানেই থাকেন। ভাই হীরক ঘোষ গোপীবল্লভপুর ২ নম্বর ব্লকের বিজেপির মণ্ডল সভাপতি। খুড়তুতো ভাই সুকেশ ঘোষ জেলা বিজেপির সহ-সভাপতি। তাই স্বাভাবিকভাবেই দিলীপ ঘোষের পাশাপাশি তাঁর ভাইদের গলায়ও সর্বদাই শোনা যায় মুখ্যমন্ত্রী বিরোধী সুর। স্বাস্থ্যসাথী কার্ড প্রসঙ্গেও বারবার রাজ্যকে নিশানা করতে দেখা গিয়েছে তাঁদের। এসবের মাঝেই সম্প্রতি যেখানে গোপীবল্লভপুরের কুলিয়ানা এলাকার বাসিন্দাদের স্বাস্থ্যসাথী কার্ডের ছবি তোলা হচ্ছে, সেখানে দেখা যায় হীরক ঘোষের স্ত্রী-সহ পরিবারের বেশ কয়েকজনকে। স্বাভাবিকভাবেই বঙ্গবিজেপির প্রথম সারির নেতার পরিবারের সদস্যদের এই কার্ডের লাইনে নজরে পড়তেই নানারকম আলোচনা শুরু হয়েছে রাজনৈতিক মহলে। তৃণমূলের তরফে সরাসরি আক্রমণ করা হচ্ছে দিলীপ ঘোষকেও। এবিষয়ে হীরক ঘোষ জানিয়েছেন, তাঁর স্ত্রী ও বাকি সদস্যরা কবে গিয়েছিলেন তা তাঁর জানা ছিল না। কারণ, তিনি গ্রামে ছিলেন না। তবে এবিষয়ে এখনও সুকেশ ঘোষের কোনও প্রতিক্রিয়া মেলেনি।