জ্যোতি চক্রবর্তী, বনগাঁ: কয়েক মাস আগে তৃণমূলের বনগাঁ সাংগঠনিক জেলার সভাপতি বিশ্বজিৎ দাস মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) সঙ্গে রানি রাসমণি ও ভগিনী নিবেদিতার তুলনা করেছিলেন। এবার মুখ্যমন্ত্রীকে ভারতরত্ন দেওয়ার দাবি তুললেন তিনি৷ তাঁর এই মন্তব্যের কটাক্ষ করতে ছাড়েননি বিজেপি নেতারা।
দিন কয়েক আগে ডিওয়াইএফআই-এর তরফে গোপালনগরের হরিপদ হাই স্কুলের মাঠে জনসভা করা হয়েছিল। শনিবার তৃণমূলের তরফে তার পালটা সভা করা হয়। উপস্থিত ছিলেন পরিবহন মন্ত্রী স্নেহাশীষ চক্রবর্তী, বিধায়ক নারায়ণ গোস্বামী, বিধায়ক বিশ্বজিৎ দাস, বনগাঁর প্রাক্তন সাংসদ মমতা ঠাকুর সহ অনেকে। সেখানেই ভাষন দিতে গিয়ে বিশ্বজিৎ দাস বলেন, “মুখ্যমন্ত্রীর প্রকল্পের সুফল মানুষ জন্ম থেকে মৃত্যু পর্যন্ত পাচ্ছেন। কেন্দ্রীয় সরকারও এই প্রকল্প গুলিকে অনুসরণ করছেন। সারা পৃথিবীতে এই প্রকল্পগুলি সমাদৃত হচ্ছে। তাই এই সভামঞ্চ থেকে আমি দাবি করছি, মুখ্যমন্ত্রীকে ভারতরত্ন দেওয়া হোক।”
[আরও পড়ুন: ‘মৃতের পরিবারের পাশে দাঁড়ানো অন্যায়?’, শুভেন্দুকে পালটা জবাব অভিষেকের]
স্নেহাশীষ বাবু বলেন, “সিএএ উদ্বাস্তুদের নাগরিকত্ব দেওয়ার জন্য তৈরি হয়নি৷ বনগাঁর বিজেপি সাংসদ শান্তনু ঠাকুর, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সিএএ প্রয়োগ করতে পারবে না৷” এরপর তিনি মুখ্যমন্ত্রী প্রশংসা করে বলেন, “জগন্নাথ দেব যেমন রথের দিন সাধারণ মানুষের মধ্যে নেমে আসেন। মুখ্যমন্ত্রী প্রশাসন নিয়ে সরকারকে গ্রামেগঞ্জে পৌঁছে দিয়েছেন।” অশোকনগরের বিধায়ক নারায়ন গোস্বামী সিপিএমকে বাতিল আধুলির সঙ্গে তুলনা করে বলেন, “মানুষ সিপিএমের মতোই আধুলি প্রত্যাখ্যান করেছেন।” শান্তনু ঠাকুরকে বিঁধে বলেন, “হয় নাগরিকত্ব শংসাপত্র দেওয়ার ব্যবস্থা করুন৷ নয়তো সংসদে গিয়ে পদত্যাগ করুন।”
মুখ্যমন্ত্রীর ভারতরত্ন পাওয়ার বিষয়ে বিজেপির বনগাঁ সাংগঠনিক জেলা সভাপতি রামপদ দাস বলেন, “পঞ্চায়েতে টিকিট নেওয়ার প্রতিযোগিতা শুরু হয়েছে। এসব কথা বলে, মেরে কেটে খাওয়াই লক্ষ্য।” সিএএ নিয়ে শান্তনু ঠাকুর বলেন, “সিএএ নিয়ে তৃণমূলের লোকজন ভাওতা দিচ্ছে। এই আইনে যদি উদ্বাস্তদের নাগরিকত্ব দেওয়ার ব্যবস্থা না থাকে তাহলে তৃণমূল সমর্থন করছে না কেন?”