শংকরকুমার রায়, রায়গঞ্জ: কুলতলিতে দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে অভিযান চালাতে গিয়ে আক্রান্ত হয়েছিল পুলিশ। তাদেরকে লক্ষ্য করে গুলি চালানো হয়। এবার সেই ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঘটল উত্তর দিনাজপুরের চোপড়ায়। দুষ্কৃতীদের ধরতে গিয়ে আক্রান্ত পুলিশ। দুই পুলিশ কর্মীকে কোপানোর অভিযোগ উঠেছে। দুজনকে শিলিগুড়ির হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। পুলিশের গাড়ির চালক এবং এক কনস্টেবলকেও বেধড়ক মারধর করা হয়।
এদিন ভোর সাড়ে চারটে নাগাদ চোপড়ার আমতলা এলাকায় অভিযান চালায় ৫ পুলিশ কর্মী। সেই দলে ছিলেন এসআই, এএসআই, ২ কনস্টেবল ও সিভিক ভলান্টিয়ার। অভিযোগ, ওই এলাকার তিনজনের বিরুদ্ধে পুরনো একাধিক মামলায় ওয়ারেন্ট ছিল। কিন্তু সেই সময় তারা পালিয়ে যাওয়ায় পুলিশ ধরতে পারেনি। তিন দুষ্কৃতীরা গ্রামে ফিরেছে, জানতে পারার পরই ভোর রাতে অভিযান চালায় পুলিশ।
[আরও পড়ুন: নিখুঁত তথ্য, চোখা আক্রমণ আর শ্লেষের মিশেল, সুবক্তা অভিষেকের প্রতিষ্ঠা লোকসভায়!]
জানা গিয়েছে, এলাকায় ঢোকার পরই পুলিশের উপর চড়াও হয় তিন অভিযুক্ত ও তাদের সাঙ্গপাঙ্গরা। দুজনকে কোপানো হয়। এক কনস্টেবলকে লাঠি দিয়ে মারধর করা হয়। রাস্তার পাশে গাড়ি রাখা ছিল। চালককে নামিয়ে এনে মারধর করা হয়। জানা গিয়েছে, এসআই পবিত্র কুণ্ডুর পেটে ছুরি মারা হয়েছে। এএসআই দেবাশিস দাসের হাতে কোপানো হয়েছে। এ প্রসঙ্গে ইসলামপুরের পুলিশ সুপার জবি থমাস বলেন, "এলাকায় পুলিশি অভিযান চলছে।" চোপড়ার একাধিক ফাঁড়ি থেকে পুলিশ জড়ো হয়েছে এলাকায়। তল্লাশি চলছে।
উল্লেখ্য, চোপড়া এলাকায় একের পর এক অনৈতিক কাজ চলছে। জমি দখল থেকে খুুন, রোজকার বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে পুলিশের আক্রান্ত হওয়ার ঘটনায় উদ্বেগ আরও বাড়ল।
[আরও পড়ুন: জমি অধিগ্রহণের জন্য রাজ্যে রেল প্রকল্পে দেরি! মমতাকে চিঠি দিচ্ছেন রেলমন্ত্রী