স্টাফ রিপোর্টার: শহিদ দিবস উপলক্ষে ধর্মতলায় তৃণমূলের সভামঞ্চে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে আনা হবে পিছনের রাস্তা দিয়ে। জনপ্লাবনে নিরাপত্তাজনিত কারণেই মুখ্যমন্ত্রীর এই ‘লাইন অফ রুট’ ঠিক করেছেন পুলিশ কর্তারা। সভামঞ্চে তাঁকে নিয়ে আসা হবে ওল্ডকোর্ট হাউস স্ট্রিট ও ওয়াটারলু স্ট্রিট ধরে। পাশাপাশি জনসভার ভিড় সামাল দিতে আজ ভোর থেকেই পথে নেমেছেন প্রায় পাঁচ হাজার পুলিশ কর্মী। রয়েছে পুলিশের ওয়াচ টাওয়ার, অ্যাম্বুল্যান্স ও বিপর্যয় মোকাবিলা দলও। সেইসঙ্গে মেট্রো রেলের স্টেশনগুলিতেও নজরদারিতে থাকছেন কলকাতা পুলিশের কর্মীরা। পাশাপাশি মেট্রো কর্তৃপক্ষও নিরাপত্তার স্বার্থে আজ সকাল থেকেই বাড়তি পুলিশি ব্যবস্থা রাখছে মেট্রোর বিভিন্ন স্টেশনের মধ্যে। তবে ২১ জুলাইয়ের জন্য কোনও বাড়তি ট্রেন আজ চালানো হবে না বলে সাফ জানিয়ে দিয়েছে মেট্রো কর্তৃপক্ষ।
[ আরও পড়ুন: ‘ট্রেন কমিয়ে লোক আটকানোর চেষ্টা হচ্ছে’, একুশের মঞ্চ পরিদর্শনে গিয়ে বিস্ফোরক মমতা]
গত রবিবারের মতোই আজ প্রথম ট্রেন চলবে সকাল ন’টায়। তবে ভিড় সামাল দিতে কড়া নিরাপত্তা থাকছে পাতালপথে। মোট ১৪টি স্টেশনে নিরাপত্তা বাড়ানো হয়েছে। ইন্সপেক্টর পদমর্যাদার অফিসারদের নিয়ে তৈরি হয়েছে বিভিন্ন টিম। তাঁরা গুরুত্বপূর্ণ স্টেশনের নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকবেন। আজ এই সমাবেশ উপলক্ষে ৯০ জন আরপিএফকে অতিরিক্ত আনা হয়েছে। সাধারণ দিনে প্রায় শ’খানেক রেল পুলিশ থাকেন দায়িত্বে। সেই সংখ্যা আজ প্রায় ২০০ হবে।
জোর দেওয়া হচ্ছে দমদম, পার্ক স্ট্রিট, চাঁদনি, এসপ্ল্যানেড, ময়দান, শ্যামবাজার, কবি সুভাষ স্টেশনের নিরাপত্তায়। কারণ এই সমস্ত স্টেশনগুলিতে ভিড় বেশি হওয়ার সম্ভাবনা। সকাল ১০টার মধ্যে রেলপুলিশকে স্টেশনগুলিতে পৌঁছে যেতে বলা হয়েছে। কারণ ওই সময় থেকেই ভিড় বাড়তে পারে। সন্ধে পর্যন্ত তাঁরা থাকবে। এছাড়াও এদিন দমদম, চাঁদনি, এসপ্ল্যানেড স্টেশনে ডগ স্কোয়াড থাকবে। গুরুত্বপূর্ণ স্টেশনে থাকবে কমান্ডো বাহিনীও। নজরদারি চালাবে সাদা পোশাকের পুলিশও। তবে টোকেনই থাকবে যাত্রীদের জন্য।
[ আরও পড়ুন: শিক্ষামন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকেও কাটল না বেতন-জট, অনশনে অনড় প্রাথমিক শিক্ষকরা]
পাতালে খাবারের প্যাকেট নিয়ে নামার ক্ষেত্রে কড়াকড়ি করা হচ্ছে। রেল পুলিশের এক আধিকারিকের কথায়, বিরিয়ানি হোক বা রুটি মাংস! খাবারের প্যাকেট নিয়ে নামতে দেওয়া হবে না। বলা হবে বাইরে খেয়ে পাতালে নামতে। কারণ অন্যবারের অভিজ্ঞতা এক্ষেত্রে খারাপ। স্টেশন নোংরা করার ঘটনা ঘটে। তাই এই কড়াকড়ি। শনিবার রাত দশটা থেকেই ট্রাফিকের পাঁচটি দল রাস্তায় নামে ধর্মতলা চত্বরে। রবিবার ভোর চারটে থেকে রাস্তায় নামবেন ট্রাফিক পুলিশের কর্মীরাও।
[ আরও পড়ুন: বিজেপিতে যোগ দেওয়া টলিউডের তারকাদের সুবিধাবাদী বলে কটাক্ষ অপর্ণার]
একুশের সমাবেশে যানজট এড়াতে যান নিয়ন্ত্রণ করা হয়েছে৷ হাওড়া স্টেশন থেকে স্ট্র্যান্ড রোড ধরে ডালহৌসি হয়ে মিছিল ঢুকবে ধর্মতলায়। শিয়ালদহ স্টেশন থেকে মৌলালি, এসএন ব্যানার্জি রোড ধরে ঢুকবে আরেকটি মিছিল। শ্যামবাজার থেকে সেন্ট্রাল অ্যাভিনিউ ধরে মিছিল যাবে ধর্মতলার দিকে। হাজরা মোড় থেকে আশুতোষ মুখার্জি রোড, এক্সাইড, পার্ক স্ট্রিট হয়ে আসবে আরেকটি মিছিল। খিদিরপুর থেকে ফোর্ট উইলিয়াম, মেয়ো রোড হয়ে ধর্মতলায় ঢুকবে মিছিল। সাধারণ মানুষের দুর্ভোগ কমাতে আমহার্স্ট স্ট্রিট, বিধান সরণি, কলেজ স্ট্রিট, বি বি গাঙ্গুলি স্ট্রিট, রবীন্দ্র সরণি, ব্রেবোর্ন রোড এড়িয়ে চলাই ভাল। স্ট্র্যান্ড রোডে ঘোরানো হতে পারে গাড়ির গতিমুখ৷
The post একুশের সমাবেশে নিরাপত্তায় বিশেষ জোর, পথে ৫০০০ পুলিশ appeared first on Sangbad Pratidin.