বাবুল হক, মালদহ: মালদহে (Maldah) ধৃত চিনা ‘চর’কে নিয়ে রহস্য আরও জটিল হয়ে উঠছে। শরীরে চিপ লাগিয়ে কি সে ভারতে অনুপ্রবেশ করেছে? সেই চিপের মাধ্যমেই তথ্যপাচার করার পরিকল্পনা ছিল তার? সাইবার বিভাগে অতি দক্ষ চিনা নাগরিক হান জুনেইকে নিয়ে এমনই সন্দেহ গাঢ় হচ্ছে তদন্তকারীদের। জানা গিয়েছে, মঙ্গলবার তার কোভিড পরীক্ষা হবে। পাশাপাশি, শরীরে চিপের অস্তিত্ব নিয়ে সংশয় দূর করতে সুকৌশলে সিটি স্ক্যানও করা হতে পারে। এদিকে, জেলা পুলিশ প্রশাসনের আবেদন মেনে হান জুনেই সংক্রান্ত মামলার তদন্তভার গ্রহণ করল স্পেশ্যাল টাস্ক ফোর্স (STF)।
গত বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ-ভারত সীমান্ত পেরিয়ে মালদহ দিয়ে অনুপ্রবেশের সময়ে বিএসএফের হাতে ধরা পড়েছিল বছর ছত্রিশের চিনা (China) নাগরিক হান জুনেই। তাকে দিন দুয়েক জিজ্ঞাসাবাদের পর তুলে দেওয়া হয় কালিয়াচক পুলিশের হাতে। আপাতত ৬ দিনের পুলিশ হেফাজতে রয়েছেন হান। আর তার মধ্যেই তাকে দফায় দফায় জিজ্ঞাসাবাদ করে সবটা বুঝে নেওয়ার লক্ষ্যে এগোতে চান তদন্তকারীরা। কিন্তু বাধা হয়ে উঠছে অনেক কিছুই। তার মধ্যে অন্যতম তার ল্যাপটপ এবং আই-ফোনের পাসওয়ার্ড উদ্ধার না হওয়া। ফলে সেসব থেকে কোনও নথিই পাওয়া যাচ্ছে না, যা তদন্তে সাহায্য করতে পারে। পুলিশ সূত্রে খবর, হানের ল্যাপটপ ও আই-ফোনের পাসওয়ার্ড মান্দারিন ভাষায়। তাই ওই ভাষা জানা ব্যক্তির খোঁজ করছে পুলিশ। নাহলে কোনওভাবেই ল্যাপটপ বা আই-ফোন খোলা সম্ভব হবে না বলেই মনে করছেন তদন্তকারীরা।
[আরও পড়ুন: কোভিড টিকা নিলে সত্যিই কি চুম্বকে পরিণত হচ্ছে শরীর? অবশেষে ফাঁস রহস্য]
কীভাবে হান ভারতীয় ভূখণ্ডে প্রবেশ করেছে? হানকে সঙ্গে নিয়ে মঙ্গলবার তার পুনর্নির্মাণ করলেন তদন্তকারী পুলিশ আধিকারিকরা। হান কোনও সাধারণ ব্যক্তি নন, তা প্রাথমিক জেরাতেই বুঝেছেন পুলিশ আধিকারিকরা। ধৃত ওই চিনা নাগরিকের কথাতেও যথেষ্ট অসঙ্গতি খুঁজে পেয়েছেন। কেবলমাত্র আর্থিক প্রতারণা নাকি হানের ভারতে আসার পিছনে রয়েছে আরও বড় ষড়যন্ত্র? সেই রহস্য ভেদ করার চেষ্টা করছেন পুলিশ আধিকারিকরা। এবার তাকে ফের জিজ্ঞাসাবাদ করবেন জেলা পুলিশ সুপার অলোক রাজোরিয়া ও ডেপুটি পুলিশ সুপার প্রশান্ত দেবনাথ।