সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: মৃত্যুপুরী বালেশ্বর। করমণ্ডল এক্সপ্রেসের ভয়াবহ দুর্ঘটনা একনিমেষে কেড়ে নিয়েছে বহু প্রাণ। শয়ে শয়ে ছড়িয়ে ছিটিয়ে পড়েছে দেহাংশ। কোথাও ধ্বংসস্তূপের মধ্যে থেকে উঁকি দিচ্ছে হাতের খানিকটা অংশ তো কোথাও পরিজনকে হন্যে হয়ে খুঁজে বেড়াচ্ছে বাড়ির লোকেরা। আবার হাসপাতালে মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছেন সাড়ে ছ’শোরও বেশি মানুষ। এমন কঠিন পরিস্থিতিতে জখম যাত্রীদের পাশে দাঁড়ালেন স্থানীয়রা। আহতদের রক্তের জোগান দিতে দাঁড়ালেন রক্তদানের লাইনে।
বালেশ্বর এবং তার আশপাশের নানা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন দুর্ঘটনায় আহতরা। রক্তের অভাবে যাতে তাঁদের প্রাণ না যায়, সেই চেষ্টাই করছেন স্থানীয়রা। তাই স্বেচ্ছায় পৌঁছে গিয়েছেন হাসপাতালে। লাইনে দাঁড়িয়ে রক্তদান করছেন যাতে রক্ত সরবরাহে সমস্যা না হয়। এর পাশাপাশি ঘটনাস্থল থেকে যাতে দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া যায় আহতদের, তার জন্য তৈরি ২০০ অ্যাম্বুল্যান্স। কাজ করছে ৪৫টি ভ্রাম্যমান স্বাস্থ্য পরিষেবা টিম। প্রাথমিক চিকিৎসা প্রদানের জন্য ৫০ জন চিকিৎসক ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিষেবা দিচ্ছেন। এছাড়াও ভ্রাম্যমান ফরেনসিক মেডিসিন বিশেষজ্ঞদের দলও জরুরিকালীন পরিস্থিতিতে কাজ চালাচ্ছেন।
[আরও পড়ুন: ‘উচ্চপর্যায়ের তদন্ত হবে, দুর্ঘটনা নিয়ে রাজনীতি করবেন না’, মৃত্যুমিছিলের মাঝে আরজি রেলমন্ত্রীর]
ওড়িশার মুখ্যসচিব প্রদীপ জেনা জানিয়েছেন, নিহতদের মধ্যে যাঁদের পরিচয় জানা গিয়েছে, তাঁদের দেহ পরিবারের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে। বাকিদের পরিচয় জানার চেষ্টা চলছে। তবে উদ্ধার কাজে আরও বেশি খানিকটা সময় লাগবে বলেই মনে করা হচ্ছে।
এদিকে, তামিলনাড়ুর মুখ্যমন্ত্রী এমকে স্ট্যালিনও এই ভয়াবহ দুর্ঘটনায় আর্থিক সাহায্য ঘোষণা করলেন। নিহতদের পরিবার পিছু ৫ লক্ষ এবং আহতদের জন্য ১ লক্ষ টাকা দেওয়া হবে।