সোমনাথ রায়, নয়াদিল্লি: “বাংলায় আবার সরকার গঠন করবে মমতা।” শীতকালীন অধিবেশনের শেষদিন তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদদের ধরনার সামনে দাঁড়িয়ে ভবিষ্যদ্বাণী করে গেলেন ‘বাংলার মেয়ে’ জয়া বচ্চন।
সংখ্যাধিক্যকে কাজে লাগিয়ে যেভাবে মনরেগার নামবদল করা হল, তার প্রতিবাদে বৃহস্পতিবার মাঝরাত থেকে ১২ ঘণ্টার ধরনা প্রদর্শন করেন তৃণমূল সাংসদরা। রাতে তাঁর ও কংগ্রেস সাংসদ রেণুকা চৌধুরীর বাড়ি থেকেই এসেছিল বিক্ষোভকারী সাংসদদের খাবার।
সহকর্মীদের পাশে শুধু এভাবেই থাকলেন না সমাজবাদী পার্টির সাংসদ। সোজা চলে এলেন পুরনো সংসদ ভবনের ধরনাস্থলে। সঙ্গে ছিলেন শিবসেনা (উদ্ধব) সাংসদ প্রিয়াঙ্কা চতুর্বেদী। হাতে তুলে নিলেন ‘মনরেগার হত্যা গরীব বিরোধী, যুক্তরাষ্ট্রীয় পরিকাঠামো বিরোধী পোস্টার। কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়, দোলা সেন, জুন মালিয়াদের সঙ্গে গলা মেলালেন ধন ধান্যে পুষ্পে ভরা গানেও। সেখানে আবদার করে কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁকে বললেন, “জামাইবাবুকেও (অমিতাভ বচ্চন) একদিন নিয়ে আসুন!” একগাল হেসে প্রত্যুত্তরও দিয়ে যান জয়া। কল্যাণ ফের বলেন, “শিব ছাড়া কি দুর্গা মানায়?” মজার ছলে জয়া বলেন, “দুর্গা কিন্তু একাই বাপের বাড়ি আসেন।”
ধরনাস্থল থেকে যখন বেরিয়ে যাচ্ছিলেন ‘বাঙালি’ সাংসদ, তখন তাঁর কাছে আসে প্রশ্ন। সাহিত্যসম্রাট বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় থেকে শুরু করে বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর। একে একে বাঙালি মণীষিদের বিজেপির অপমান, অসম্মান করার প্রসঙ্গ। ক্ষুব্ধ হয়ে বলেন, “ওরা যত অপমান করবে, বাংলার মানুষের মনোবল তত বাড়বে।” একইসঙ্গে বলেন, “বাংলায় আবার মমতার সরকার হবে। বাঙালিরা দেশের অন্য প্রদেশের থেকে আগে ভেবে নেয়। আগে চিন্তা করে নেয়।”
