সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: শালিমার থেকে চেন্নাইগামী করমণ্ডল এক্সপ্রেসে ভয়াবহ দুর্ঘটনা। শুক্রবার সন্ধেয় লাইনচ্যুত হয়ে প্রাণ গেল বহু যাত্রীর। কার্যত নজিরবিহীন ভাবে তিনটি ট্রেন একসঙ্গে দুর্ঘটনার কবলে পড়ে। কিন্তু এই প্রথমবার নয়। ১৪ বছর আগে এমনই এক ব্ল্যাক ফ্রাইডের সাক্ষী হতে হয়েছিল এই এক্সপ্রেসকেই।
২০০৯ সালের ১৩ ফেব্রুয়ারি। সন্ধে সাড়ে ৭টা নাগাদ দ্রুত গতিতে জয়পুর রোড স্টেশন পেরনোর সময় ঘটে সেই দুর্ঘটনা। লাইনচ্যুত হয়ে দু’দিকে ছড়িয়ে পড়ে করমণ্ডল এক্সপ্রেসের (Coromandel Express) একাধিক কামরা। সেই ভয়ংকর দুর্ঘটনায় প্রাণ হারান ১৬ জন। এখানেই শেষ নয়, ১৯৭৭ সালের ৬ মার্চ যাত্রা শুরু করা এই এক্সপ্রেস আরও কয়েকবার বিপর্যয়ের সম্মুখীন হয়েছে।
[আরও পড়ুন: ‘উচ্চপর্যায়ের তদন্ত হবে, দুর্ঘটনা নিয়ে রাজনীতি করবেন না’, মৃত্যুমিছিলের মাঝে আরজি রেলমন্ত্রীর]
২০০২ সালের ১৫ মার্চ, অন্ধ্রপ্রদেশের নেল্লোর জেলায় হাওড়া-চেন্নাই করমণ্ডল এক্সপ্রেসের ৭টি কামরা লাইনচ্যুত হয়ে গিয়েছিল। যার জেরে অন্তত ১০০ যাত্রী গুরুতর আহত হন। এর পরের দুর্ঘটনা ঘটে ২০০৯ সালে। তার বছর তিনেক পর আবারও বিভীষিকার রাত দেখে করমণ্ডল এক্সপ্রেসের যাত্রীরা। ২০১২-র ১৪ জানুয়ারি, চেন্নাই-হাওড়া করমণ্ডল এক্সপ্রেসের সাধারণ কামরায় আগুন লাগে। ঘটনাটি ঘটেছিল লিঙ্গরাজ স্টেশনের কাছে। সে বছরই আবার ৩০ ডিসেম্বর ওড়িশার গঞ্জাম জেলায় করমণ্ডলের ধাক্কায় ৬টি হাতির মৃত্যু হয়। ২০১৫ সালের এপ্রিল মাসে, অন্ধ্রপ্রদেশের নিদাদাভলু স্টেশনে করমণ্ডল এক্সপ্রেসে অগ্নিকাণ্ডের জেরে দু’টি বগি ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্থ হয়।
তবে গতকালের দুর্ঘটনার ভয়াবহতা এই ট্রেনে ঘটা অতীত সমস্ত দুর্ঘটনাকে ছাপিয়ে গেল বলেই মনে করা হচ্ছে। কারণ এবার ইতিমধ্যেই দুর্ঘটনায় মৃতের সংখ্যা দু’শোর গণ্ডি পেরিয়েছে। সেই সংখ্যা আরও বাড়বে বলেই মনে করা হচ্ছে।