সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: কোনও ব্যক্তি অক্সিজেন সরবরাহে বাধা দিলে তাকে ফাঁসি দেওয়া হবে। দেশের উদ্বেগজনক কোভিড (COVID-19) পরিস্থিতিতে গাফিলতির বিরুদ্ধে এভাবেই সরব হয়ে উঠল দিল্লি হাই কোর্ট। পাশাপাশি প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী কবে দিল্লিতে ৪৮০ মেট্রিক টন অক্সিজেন পৌঁছবে, তা কেন্দ্রকে স্পষ্ট করে জানানোর নির্দেশ দেওয়া হল।
দেশে ক্রমেই করোনা পরিস্থিতি ভয়াবহ রূপ ধারণ করছে। আর তারই মধ্যে অক্সিজেনের হাহাকার। বিনা চিকিৎসায় প্রাণ হারাচ্ছেন বহু মানুষ। মহারাষ্ট্র, দিল্লি থেকে উত্তরপ্রদেশ, গুজরাট-সহ প্রায় রাজ্যেরই ছবিটা একইরকম। এই সংকটের দিনে কেন্দ্র কিংবা রাজ্যকে কোনওরকম গাফিলতির জন্য রেয়াত করা হবে না বলেই কার্যত হুঁশিয়ারি দিল দিল্লি হাই কোর্ট। করোনার ঊর্ধ্বমুখী সংক্রমণকে ‘সুনামি’র সঙ্গে তুলনা করে এই সময় অক্সিজেনের সরবরাহ স্বাভাবিক রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
[আরও পড়ুন: ঋতুস্রাবের আগে বা পরে কি মেয়েদের টিকা নেওয়া ঠিক নয়? জবাব দিল কেন্দ্র]
একটি মামলার পর্যবেক্ষণে শনিবার দিল্লি হাই কোর্ট (Delhi High Court) জানায়, হাসপাতালগুলিতে অক্সিজেন সরবরাহ পর্যাপ্ত পরিমাণে হচ্ছে না। এই সরবরাহে কোনওরকম ব্যাঘাত ঘটানো হলে কেন্দ্র বা রাজ্য সরকারি কর্মী অথবা স্থানীয় প্রশাসনের কোনও আধিকারিককেই ছেড়ে কথা বলা হবে না। কেউ বাধা দেওয়ার চেষ্টা করলে তাকে ফাঁসিতে ঝোলানো হবে। কেউ এই কর্মকাণ্ডে বাধা দেওয়ার চেষ্টা করছে কি না, তাও দিল্লি সরকারের কাছে জানতে চায় হাই কোর্টের বেঞ্চ।
দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল (Arvind Kejriwal) জানিয়েছিলেন, ৪৮০ মেট্রিক টন অক্সিজেন না পেলে রাজধানীর চিকিৎসা পরিষেবা ভেঙে পড়বে। সংক্রমণ বৃদ্ধির সঙ্গে প্রয়োজন পর্যাপ্ত অক্সিজেন সরবরাহ। গতকাল ২৯৭ মেট্রিক টন মেডিক্যাল গ্যাস পেয়েছে দিল্লি। এই প্রেক্ষিতেই কেন্দ্রকে সরাসরি প্রশ্ন করে হাই কোর্ট। কবে ৪৮০ মেট্রিক টন অক্সিজেন পাবে দিল্লি? পরিস্থিতি এতটাই উদ্বেগজনক যে শনিবার আবার চিঠি লিখে অন্যান্য রাজ্যকেও অক্সিজেন দেওয়ার আরজি জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।
[আরও পড়ুন: লঙ্গরে হালুয়া-পুরি নয়, গাজিয়াবাদের এই গুরুদ্বার থেকে দিনভর দেওয়া হচ্ছে অক্সিজেন]
উল্লেখ্য, গতকালই দিল্লির জয়পুর গোল্ডেন হাসপাতালে অক্সিজেনের অভাবে ২৫ জন কোভিড রোগীর মৃত্যু হয়েছে। আবার দিল্লির বাত্রা হাসপাতালও আদালতকে জানিয়েছিল, তাদের ৮০০০ লিটার অক্সিজেন প্রয়োজন। ৬০০০ লিটারে কোনওক্রমে কাজ চালানো সম্ভব। কিন্তু শেষমেশ ৫০০০ লিটার অক্সিজেনই পাওয়া গিয়েছে। সবমিলিয়েই তাই ক্ষুব্ধ দিল্লি হাই কোর্ট।