দেবব্রত মণ্ডল, বারুইপুর: নতুন বছরে ফিরল পুরনো বছরের স্মৃতি। দ্বিতীয় ঢেউ আছড়ে পড়েছে। এমন পরিস্থিতিতে করোনা (Coronavirus) প্রকোপ রুখতে আরও সক্রিয় দক্ষিণ ২৪ পরগনা (South 24 parganas) জেলা পুলিশ। কোভিড নিয়ে সচেতনতা বাড়াতে ফের পথে নামল পুলিশ৷ চলছে মাইকিং। তার সঙ্গে চলছে মাস্ক বিতরণ। প্রত্যেকে যাতে মাস্ক পরে সেই ব্যাপারে সচেতন করা হয়েছে। আগামিদিনে নিয়ম অমান্য করলে তাঁর বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ার হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়েছে।
এক বছর আগের দিনগুলো ফিরেছে গড়িয়া-সহ দক্ষিণ ২৪ পরগনার বিস্তীর্ণ অংশে। প্রয়োজনে তাঁদের গ্রেপ্তার করা হবে বলেও জানিয়েছে পুলিশ। বারুইপুর পুলিশ জেলার ডিএসপি সুপ্রভাত চক্রবর্তী ও নরেন্দ্রপুর থানার আইসি সুখময় চক্রবর্তীর নেতৃত্বে নরেন্দ্রপুর থানার পুলিশ এদিন সকাল থেকে গড়িয়া স্টেশন, বাজার-সহ নরেন্দ্রপুর থানা এলাকার বিভিন্ন বাজারে ঘোরেন। এই বিষয়ে ডিএসপি সুপ্রভাত চক্রবর্তী জানান, করোনা পরিস্থিতি ক্রমশ জটিল আকার ধারণ করছে। বাজার এলাকাগুলিতে সচেতনতা বাড়াতে সবথেকে বেশি জোর দেওয়া হচ্ছে বলে জানান তিনি। সেই জন্য পুলিশের উদ্যোগে নানা জায়গায় চলছে মাস্ক (Mask) বিতরণ।
[আরও পডুন: ‘চোর-ডাকাতরা আগে জেলে যেত, এখন বিজেপিতে যায়’, কটাক্ষ অভিষেকের]
দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা জেলা জুড়ে তিন দফায় নির্বাচন শেষ হয়েছে সদ্যই। নির্বাচনের পর আরও ঊর্ধ্বমুখী কোভিড (COVID-19) গ্রাফ। জেলার মধ্যে সবথেকে বেশি কোভিড আক্রান্তের সংখ্যা রাজপুর-সোনারপুর পুরসভাতেই। ইতিমধ্যে ৩৫০ জনের বেশি কোভিড আক্রান্ত হয়েছেন চলতি মাসেই। জেলার প্রতিটি ব্লকেই কোভিড আক্রান্তের হদিশ পাওয়া গিয়েছে। গড়ে প্রায় ৩০ শতাংশের মত লোক কোভিডে আক্রান্ত হচ্ছে। যা গতবারের তুলনায় অনেক বেশি৷ ইতিমধ্যেই এই বিষয়ে জেলার প্রতিটি ব্লককে, মিউনিসিপ্যালিটিকে নিয়ে ভিডিও কনফারেন্স করা হয়েছে। প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করতে বলা হয়েছে। সচেতনতা বৃদ্ধিতে জোর দেওয়া হচ্ছে কলকাতা শহর লাগোয়া এলাকাগুলিতে৷ এছাড়া সেফ হোমগুলির পরিকাঠামো ঠিক করতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। বাজার এলাকাগুলিতে একসঙ্গে যাতে বেশি লোক না আসেন, তার জন্য প্রতিটি থানাকে ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে৷