১ জুন থেকে রাজ্য তথা গোটা দেশে অনেকটাই শিথিল লকডাউন। ধীরে ধীরে ছন্দে ফেরার চেষ্টায় বাংলা। গৃহবন্দি দশা কাটিয়ে নানা কাজে বাইরেও বেরতে হবে। অথচ প্রতিনিয়ত ঘাড়ের কাছে নিঃশ্বাস ফেলবে করোনা ভাইরাস (Coronavirus)। এমন পরিস্থিতিতে কীভাবে সংক্রমণ থেকে দূরে থাকবেন? সুস্থ থাকার উপায় বাতলালেন ডা. তমোনাশ ভট্টাচার্য।
Advertisement
- বাড়ি থেকে বেরনোর আগে জ্বর কাশি, শ্বাসকষ্ট আছে কি না, দেখে নিন। ১৪ দিনের মধ্যে কোনও আক্রান্তের সংস্পর্শে এসেছেন কি না ভেবে দেখুন। তেমন হলে বেরবেন না।
- বাইরে বেরলে সবসময় মাস্ক পরতে থাকতে হবে।
- কাগজ বা অন্য কোনও পণ্য আদান-প্রদান করার সময় গ্লাভস পরুন।
[আরও পড়ুন: ডায়াবেটিস থাকলে করোনায় মৃত্যু হওয়ার ঝুঁকি অনেক বেশি, বলছে গবেষণার রিপোর্ট]
- ব্যাগে অ্যালকোহল যুক্ত স্যানিটাইজার বা সাবান রাখতে হবে। গাড়ির দরজার হাতল ধরলে অবশ্যই হাত ধুয়ে নিন।
- কোনও অবস্থাতেই হাত না ধুয়ে মুখ-হাত-চোখে দেবেন না। চশমা পরাই বাঞ্ছনীয়। তাতে চোখে হাত লাগার সম্ভাবনা কম।
- বাসে উঠলে যতটা সম্ভব সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখুন।
- রাস্তায় যত্রতত্র থুতু ফেলা চলবে না।
- ঠান্ডা পানীয়তে আপাতত ইতি টানাই শ্রেয়।
- এসি’তে থাকলে তাপমাত্রা ২৪ ডিগ্রির নিচে রাখা যাবে না। ২৫-২৮ ডিগ্রিতে এসি চললেই ভাল।
- আপাতত অন্যের বাক্স থেকে খাবার না খাওয়াই বুদ্ধিমানের কাজ হবে।
- অফিসে প্রয়োজন মতো ২০ সেকেন্ড ধরে সাবান দিয়ে হাত ধোবেন।
- রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কীভাবে বাড়াবেন, তার জন্য ফোনে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে পারেন।
- বাড়ি ফিরেই বাইরের পোশাক সাবান জলে ফেলে দিতে হবে। প্রয়োজনে পরে ধোবেন। কিন্তু সাবান জলে ভিজিয়ে রাখা অত্যাবশ্যক।
- জুতো বাইরেই খুলুন। বাড়িতে ঢোকাবেন না। ব্যাগটিকেও ঘরের বাইরেই রাখুন।
- বাড়ি ফিরেই স্নান করবেন। মাথায় সাওয়ার ক্যাপ না পরা থাকলে শ্যাম্পু করাই ভাল।
- ব্যবহৃত গ্লাভস ও মাস্ক ঢাকা পাত্রে ফেলতে হবে। ধোয়ার যোগ্য হলে ধুয়ে রোদে শুকিয়ে নিন। চার-পাঁচটা মাস্ক থাকলে ঘুরিয়ে-ফিরিয়ে পরুন। সেক্ষেত্রে ব্যবহারের পর রোদে রেখে দিন। ধোয়ার প্রয়োজন নেই।
- অতিথি বাড়িতে এলে তিনি সেসমস্ত জায়গায় হাত দিয়েছেন, তা অবশ্যই স্যানিটাইজ করে নিন।
- প্রতিদিনই বেরনোর আগে স্বাস্থ্যপরীক্ষা করে নিন। উপসর্গ দেখা দিলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। প্রয়োজনে সেলফ কোয়ারেন্টাইনে থাকুন।
- ৫৫ বছরের ঊর্ধ্বে বয়স হলে কিংবা রক্তচাপ-সুগার-হার্ট-কিডনির সমস্যা থাকলে খুব প্রয়োজন ছাড়া বাড়ি থেকে বেরবেন না।
- আক্রান্ত প্রতিবেশী একঘরে করবেন না। এই প্রবণতা অবৈজ্ঞানিক এবং ভয়ংকর। পারস্পরিক সহযগিতায় ভরসা রাখা জরুরি।
- অবসন্নতা মানুষের প্রতিরোধ ক্ষমতা কমায়। তাই খেয়াল রাখুন আক্রান্ত যেন অবসাদে না ভোগে।
- বিজ্ঞান ও বিজ্ঞানীদের উপর ভরসা রাখুন।
করোনারে দূরে রাখুন, করোনা রোগীকে নয়। মনে রাখবেন, ঐক্যবদ্ধভাবেই এই লড়াই জিততে হবে।
দেখুন ভিডিও:
[আরও পড়ুন: ডিসেম্বরের মধ্যে ৫০ শতাংশ ভারতীয়ই করোনায় আক্রান্ত হবেন, ছড়াবে গোষ্ঠী সংক্রমণ, দাবি গবেষকের]
The post আনলক ওয়ানে কাজে বেরনোর পালা, সংক্রমণ ঠেকাতে কী করবেন, জানাচ্ছেন চিকিৎসক appeared first on Sangbad Pratidin.