অরিজিৎ গুপ্ত, হাওড়া: লাইনে দাঁড়িয়ে টোকেন দেখিয়ে নেওয়া হয়ে গিয়েছে ভ্যাকসিনের (Corona Vcaccine) প্রথম ডোজ। কিন্তু সরকারি পোর্টালে নথিভুক্ত হয়নি নাম! ফলে মেলেনি সার্টিফিকেট। ভ্যাকসিনের দ্বিতীয় ডোজ কবে হবে, তা নিয়েও কোনও মেসেজ আসেনি। প্রায় দিন কুড়ি কেটে যাওয়ার পরও কোনও মেসেজ না পাওয়ায় বিক্ষোভে শামিল হাওড়ার (Howrah) প্রায় শতাধিক বাসিন্দা। অজানা আতঙ্ক গ্রাস করেছে তাঁদের।
বিক্ষোভকারীদের বক্তব্য, চলতি মাসের ৪, ৫, ৬, ৭ ও ২২ তারিখে রেড ক্রস সোসাইটিতে করোনার ভ্যাকসিন দেওয়া হচ্ছিল। ওই দিনগুলির মধ্যেই তাঁরা সকলে ভ্যাকসিন নিয়েছিলেন। কিন্তু তারপর থেকে বারবার কর্তৃপক্ষকে জানিয়েও ভ্যাকসিনেশনের কোনও নথিপত্র পাননি। সুজয় সোম নামে এক ব্যক্তি বলেন, তাঁর বউদি সুতপা সোম গত ৫ জুন ওখান থেকে কোভ্যাকসিন নিয়েছিলেন। কিন্তু সোমবার সন্ধে পর্যন্ত তাঁর কাছে কোনও এসএমএস আসেনি। বিক্ষোভকারী সুরজকুমার বর্মার কথায়, গত ৭ জুন তিনি ও তাঁর স্ত্রী ওখানে ভ্যাকসিন দেওয়া হচ্ছে বলে গিয়েছিলেন। তাঁদের লাইনে দাঁড়াতে বলা হয়। কিছুক্ষণ পর একটি করে টোকেন দেওয়া হয়। ওই টোকেন দেখাতেই দেওয়া হয় ভ্যাকসিন।
[আরও পড়ুন: পুরনো ভাড়ায় বাস চালাতে নারাজ মালিকরা, করোনা কালে ‘স্পেশ্যাল ফেয়ার’ চালুর দাবি]
সুরজকুমারের কথায়, ভ্যাকসিন দেওয়ার পর তাঁদের কাছ থেকে আধার কার্ড ও ফোন নম্বর চাওয়া হয়। বলা হয়, পরে রেজিস্ট্রেশন করে দেওয়া হবে। ফোনে মেসেজ চলে যাবে। কিন্তু তাঁরা কিছুই পাননি। দেবাঞ্জন কাণ্ডের মাঝে এই ঘটনা আতঙ্ক যে বাড়িয়েছে তা বলাই বাহুল্য। এ প্রসঙ্গে হাওড়া রেড ক্রস সোসাইটির সম্পাদক শিশুচিকিৎসক সুজয় চক্রবর্তী বলেন, “ভ্যাকসিন দেওয়ার সময় সার্ভার ডাউন থাকায় সরকারি পোর্টালে অনেকেরই রেজিস্ট্রেশন করা সম্ভব হয়নি। পরে তাঁদের ফোন করে প্রায় ৫০ জনের নাম রেজিস্ট্রার করা হয়েছে। কিন্তু কয়েকজন ফোন নম্বর ভুল দেওয়ায় তাঁদের থেকে তথ্য নেওয়া সম্ভব হয়নি। মে থেকে প্রায় এক হাজার জনকে ভ্যাকসিন দিয়েছে রেড ক্রশ সোসাইটি। তার মধ্যে ৮০ থেকে ১০০ জনের এই সমস্যা হয়েছে। ইতিমধ্যেই ৫০ জনের এই সমস্যা মিটে গিয়েছে। বাকি কয়েকজনের সমস্যা রয়েছে। খুব শীঘ্রই সরকারি পোর্টালে তাঁদের নামও নথিভুক্ত করে দেওয়া হবে।”