সুকুমার সরকার, ঢাকা: করোনার দাপট ক্রমশই বাড়ছে। টিকা নিয়েও করোনার (Coronavirus) কোপে পড়ে প্রাণ হারাতে হচ্ছে অনেককে। সদ্যই স্বাস্থ্যসচিবের প্রাণ কেড়েছে মারণ ভাইরাসটি। করোনা সংক্রমণের দ্বিতীয় পর্যায়ে পরিস্থিতি এতটাই উদ্বেগজনক হয়ে উঠছে যে এক সপ্তাহের জন্য লকডাউন ঘোষণা করে দিল বাংলাদেশ (Bangladesh)। আগামী ৫ এপ্রিল থেকে ৭ দিনের জন্য লকডাউনের আওতায় বাংলাদেশ, ঘোষণা করল শেখ হাসিনা প্রশাসন।
লকডাউন পরবর্তী সময়ে পরিস্থিতি পুরোপুরি স্বাভাবিক হওয়ার আগেই ফের বাংলাদেশে ঢুকে পড়েছে কোভিড-১৯’এর বিলিতি স্ট্রেন। তার ধাক্কা সামলাতে না পেরে ফের হু হু করে বেড়েছে সংক্রমণ, মৃত্যু। স্কুল খোলার সিদ্ধান্ত নিয়েও তা বাতিল করা হয়েছে, স্থগিত হয়েছে বাংলাদেশের সমস্ত নির্বাচন, ইংল্যান্ড-সহ পৃথিবীর ১২ দেশ থেকে পর্যটকদের প্রবেশেও জারি হয়েছে নিষেধাজ্ঞা। তা সত্ত্বেও পরিস্থিতি সংকটজনক হয়ে ওঠায় এবার লকডাউনের (Lockdown) সিদ্ধান্ত নেওয়া হল।
[আরও পড়ুন: ভ্যাকসিন নিয়েও করোনা আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু বাংলাদেশের স্বাস্থ্যসচিবের]
পরিস্থিতি দেখে বিশেষজ্ঞরা আগেই সতর্ক করেছিলেন, বাংলাদেশে করোনার দ্বিতীয় ঢেউ আছড়ে পড়েছে। পাশাপাশি, মিউটেশনের দরুণ আরও ভয়ানক হয়ে গিয়েছে কোভিড-১৯। পাশাপাশি, বিদেশ থেকে যাতায়াতের ফলে সংক্রমণে লাগাম পরানো যায়নি। সংক্রমণ ঠেকাতে একাধিক পদক্ষেপও নিয়েছে শেখ হাসিনার সরকার। গত মার্চ মাসে বাংলাদেশে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলার দিনক্ষণ ফের পিছিয়ে দেয় ঢাকা। মার্চ থেকে লকডাউনের পর থেকে ৩০ মার্চ থেকে স্কুল, কলেজ খুলে যাওয়ার কথা ছিল। কিন্তু করোনা ভাইরাসের (Coronavirus) দ্বিতীয় ধাক্কার পর তা বাতিল করা হয়। ইদের পর অর্থাৎ ১৫ মে’র পর শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়ার ঘোষণা করেছেন শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি। কিন্তু ফের ৭ দিনের লকডাউন হওয়ায় সামগ্রিক পরিস্থিতিরই বদল ঘটতে চলেছে।