গৌতম ব্রহ্ম: এক বছরেরও বেশি সময় ধরে মহামারী করোনা ভাইরাসের (Corona virus) বিরুদ্ধে লড়ছে গোটা বিশ্ব। প্রথম, দ্বিতীয় ধাক্কার পর কোথাও আছড়ে পড়েছে করোনার তৃতীয় ঢেউ। কোথাও বা তৃতীয়বার তা ধাক্কা দেওয়ার সময় আসন্ন। ভারতে এখনও সেভাবে তৃতীয় ধাক্কা টের পাওয়া যায়নি। কিন্তু তার মোকাবিলায় প্রস্তুতিতে কোনও খামতি নেই। বিভিন্ন রাজ্যের প্রশাসনও তৈরি হচ্ছে মহামারীর তৃতীয় ঢেউ সামলানোর জন্য। ব্যতিক্রম নয় পশ্চিমবঙ্গও। নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ অভিজিৎ বিনায়ক বন্দ্যোপাধ্যায়ের অধীনে এখানে শুরু হতে চলেছে নতুন প্রকল্প। আগামী ২ সপ্তাহের মধ্যেই তা চালু হয়ে যাবে। চূড়ান্ত রূপরেখা স্থির হয়ে গিয়েছে বলে খবর।
ইনস্টিটিউট অফ লিভার অ্যান্ড ডাইজেস্টিভ সায়েন্সের (ILDS)তরফে জানা গিয়েছে, শুক্রবার প্রতিষ্ঠানের এক অনুষ্ঠানে যোগ দিতে সেখানে গিয়েছিলেন নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ অভিজিৎ বিনায়ক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhijit Vinayak Banerjee)। কয়েকটি প্রকল্পের উদ্বোধনের পর সেই মঞ্চেই প্রতিষ্ঠানের প্রধান ডাক্তার অভিজিৎ চৌধুরী, রাজ্যের স্বাস্থ্যসচিব নারায়ণস্বরূপ নিগমের সঙ্গে একান্তে আলোচনা সেরে নেন অভিজিৎ বিনায়ক। তাতেই নতুন প্রকল্পের রূপরেখা চূড়ান্ত করা হয়। কী সেই নয়া প্রকল্প? জানা গিয়েছে, তৃতীয় ঢেউয়ের আগে রাজ্যে করোনা চিকিৎসার জন্য আলাদা কোনও পরিকাঠামো তৈরি করার প্রয়োজন কি না, তা খতিয়ে দেখবে উচ্চপর্যায়ের এক কমিটি। এতে আরও বেশি করে কাজে লাগানো হবে আশা, অঙ্গনওয়াড়ি কর্মীদের। তাঁরা বাড়ি বাড়ি গিয়ে বোঝাবেন অক্সিমিটারের ব্যবহার, করোনার উপসর্গ ও সাধারণ জ্বরের মধ্যে কী পার্থক্য – এসব প্রাথমিক শিক্ষা দেওয়া হবে সাধারণ মানুষকে।
[আরও পড়ুন: অমিল বৈধ কাগজপত্র, কথাবার্তায় একাধিক অসঙ্গতি, ভাতারে গ্রেপ্তার বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারী]
করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ের সময়েই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তৈরি করেছিলেন গ্লোবাল অ্যাডভাইজরি বোর্ড। যার অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ সদস্য নোবেলজয়ী অভিজিৎ বিনায়ক বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বিদেশ থেকেই অনলাইনে নবান্নে আয়োজিত এই বোর্ডের একাধিক বৈঠকে যোগ দিয়েছেন, দিয়েছেন প্রয়োজনীয় পরামর্শও। এবার তৃতীয় ধাক্কার আগে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের জরুরি তলব পেয়ে এই সপ্তাহে সোজা কলকাতায় ছুটে এসেছেন, যোগ দিয়েছেন নবান্নের বৈঠকে। পরিকাঠামো দেখেশুনে সন্তোষপ্রকাশ করেছেন। জনতাকে আশ্বস্ত করে নবান্নের বৈঠক থেকে তিনি জানিয়ছিলেন, রাজ্যে করোনা পরিস্থিতি ভাল, অসুস্থ হলেই চিকিৎসা করান।
[আরও পড়ুন: অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করতে গিয়ে পুলিশকর্মীর হাতেই আক্রান্ত সোনারপুর থানার SI, গ্রেপ্তার ৪]
ইনস্টিটিউট অফ লিভার অ্যান্ড ডাইজেস্টিভ সায়েন্সের সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িত এই নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ। বিদেশ থেকে সবসময়েই এই প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে যোগাযোগ রাখেন তিনি। করোনা আবহে বরাবর নিজের পরামর্শ দিয়ে গিয়েছেন। আর তারপরই তৃতীয় ঢেউ মোকাবিলায় নোবেলজয়ী গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিলেন।