বিশেষ সংবাদদাতা, নয়াদিল্লি: এখন থেকেই করোনার তৃতীয় ঢেউ (Third Wave) রোখার প্রস্তুতি শুরু করে দিতে চাইছে কেন্দ্র। এর জন্য, আগামী তিন মাসের মধ্যে দেশে ৫০টি মডিউলার হাসপাতাল তৈরির পরিকল্পনা নেওয়া হল। মডিউলার হাসপাতালে আইসিইউ থেকে শুরু করে অক্সিজেন সাপোর্টের ব্যবস্থা এবং অন্যান্য লাইফ সাপোর্টের ব্যবস্থা থাকবে বলেই জানা গিয়েছে।
মডিউলার হাসপাতালের (Modular Hospital) বিশেষত্ব হল, অত্যন্ত কম সময়, তিন সপ্তাহের মধ্যে এবং তিন কোটি টাকা খরচ করলেই তা তৈরি করা সম্ভব। ২৫ বছর পর্যন্ত এগুলির কার্যক্ষমতা থাকে। ১০০ শয্যার ব্যবস্থা থাকতে পারে সেখানে। সবচেয়ে বড় সুবিধা হল বিপদের সময়ে এই মডিউলার হাসপাতালকে এক সপ্তাহের মধ্যে অন্যত্র সরিয়ে নিয়ে যাওয়া যায়। চলতি বছরের শেষে দেশে করোনার তৃতীয় ঢেউ আসতে পারে বলে ইতিমধ্যেই আশংকা প্রকাশ করেছেন স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা।
[আরও পড়ুন: বড়সড় স্বস্তি, দেশের দৈনিক করোনা আক্রান্তের সংখ্যা নামল ৬০ হাজারে, কমছে মৃত্যুও]
করোনার (Coronavirus) দ্বিতীয় তরঙ্গ আচমকা ভয়াবহ রূপ ধারণ করায় দেশের মানুষকে বিপদে পড়তে হয়েছে। এবং তার জেরে সমালোচনার মুখে পড়ে কেন্দ্র। তার পুনরাবৃত্তি আটকাতে এবার বিশেষভাবে নজর রাখা হচ্ছে। করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ে সবচেয়ে বেশি সমস্যা দেখা দিয়েছে অক্সিজেন সরবরাহ নিয়ে। মডিউলার হাসপাতাল তৈরির ব্যাপারে এই বিষয়টিকে মাথায় রাখা হচ্ছে। দেশের যে সমস্ত সরকারি হাসাপতালের বিদ্যুৎ, অক্সিজেন, পানীয় জলের ব্যবস্থা রয়েছে তার পাশেই এই হাসপাতাল তৈরি করা হবে।
ছোটো শহর ও গ্রামীণ এলাকার উপর নজর রেখেই এই প্রকল্প হতে চলেছে। কেন্দ্র সরকারের প্রধান বৈজ্ঞানিক উপদেষ্টা কে বিজয় রাঘবনের নেতৃত্বে তার কাজ চলছে। দেশের ছোটো শহর ও গ্রামীণ এলাকার স্বাস্থ্য পরিকাঠামোর ক্ষেত্রে যে খামতি রয়েছে তা এই হাসপাতালগুলি যাতে পুষিয়ে দেয়, সেই লক্ষ্যই কাজ শুরু হয়েছে। রাঘবনের দপ্তরের তরফ থেকে অদিতি লেলে জানিয়েছেন, ‘যে সমস্ত রাজ্য এই ধরণের হাসপাতালের প্রয়োজন রয়েছে সেখানকরা রাজ্যগুলির সঙ্গে আমরা নিয়মিত সম্পর্ক রাখছি। যে সমস্ত রাজ্যে করোনার সংখ্যা লাগাতার বেড়েই চলেছে এক্ষেত্রে তাদের অগ্রাধিকতার দেওয়া হবে।’
[আরও পড়ুন: ইচ্ছাকৃতভাবে টিকা নিতে চাইছে না মুসলিমরা, বিতর্কিত মন্তব্য উত্তরাখণ্ডের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর]
জানা গিয়েছে এই প্রকল্পের আওতাতে মহারষ্ট্রের পুণে, ছত্রিশগড়ের বিলাসপুর, পাঞ্জাবের মোহালিতে মডিউলার হাসপাতাল তৈরি হবে। তাছাড়াও, ছত্তিগড়ের রায়পুরে ২০ টি শয্যা সম্বলিত এবং কর্ণাটকের বেঙ্গালুরুতে দফায় দফায় কুড়ি থেকে ১০০ বেডের এই ধরণের হাসপাতাল তৈরি হবে। অন্যান্য রাজ্যেও এমন হাসপাতাল তৈরি হবে বলে এক শীর্ষ কর্তা জানিয়েছেন। তাঁর বক্তব্য, তবে অগ্রাধিকার দেওয়া হবে সরকারি হাসপাতালকে।