সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: দিনভর তাণ্ডবের পরেও গত ৮ অক্টোবর নবান্ন পর্যন্ত পৌঁছতে পারেনি বিজেপি। তবে সেই ইস্যু নিয়ে এখনও চলছে তরজা। এবার জলকামানে ব্যবহৃত জলে করোনা ভাইরাস (Coronavirus) ছিল বলেই দাবি করলেন বিজেপি সাংসদ সৌমিত্র খাঁ। এই মর্মে জাতীয় মানবাধিকার কমিশনে চিঠিও দিয়েছে গেরুয়া শিবির।
উল্লেখ্য, গত ৮ অক্টোবর সাত দফা দাবিতে নবান্ন (Nabanna) অভিযানের ডাক দেয় বিজেপি। রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তের কয়েক হাজার কর্মী-সমর্থক তাতে শামিলও হন। তবে অতিমারী আবহে শুরু থেকেই মিছিলের বিরোধিতা করে রাজ্য প্রশাসন। তা সত্ত্বেও গেরিলা কায়দায় রাজ্যে প্রশাসনিক ভবনে অভিযানের হুঁশিয়ারি দেয় বিজেপি। হাওড়া, কলকাতা মিলিয়ে মোট চারটি মিছিল বেরোয়। পালটা প্রস্তুত ছিল পুলিশ প্রশাসন। দিকে দিকে করা হয় ব্যারিকেড। তবে প্রতিরোধকে তুচ্ছ প্রমাণ করে এগিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে বিজেপি।
[আরও পড়ুন: গলা না কেটেই বাদ থাইরয়েড গ্রন্থি, বিরল অস্ত্রোপচারে নজির গড়ল SSKM]
সাঁতরাগাছিতে প্রথম ব্যারিকেড ভাঙার চেষ্টা করেন মিছিলকারীরা। তাতে বাধা দিতেই জলকামান ব্যবহার করে পুলিশ। ওই জলে বেগুনি রং মেশানো ছিল। মুখ্যসচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায় আগেই জানিয়েছেন, ব্যারিকেড ভাঙচুরের চেষ্টাকারীদের শনাক্ত করতেই জলের সঙ্গে হোলির রং মেশানো ছিল। তবে সে দাবি মানতে নারাজ গেরুয়া শিবির। বিজেপি সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায় (Locket Chatterjee) গতকালই দাবি করেন ওই জলে এমন কিছু রাসায়নিক মেশানো ছ্লি যার ফলে অনেকেই অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। দলীয় কর্মী-সমর্থকদের ত্বকের ক্ষতি এমনকী ক্যানসারও হতে পারে। কৈলাস বিজয়বর্গীয়র কাছে এই মর্মে চিঠি লিখে রাসায়নিকের প্রকৃতি জানারও দাবি জানিয়েছেন তিনি।
আর ঠিক সেদিনই জাতীয় মানবাধিকার কমিশনে চিঠিও দেয় বিজেপি শিবির। সাংসদ স্বপন দাশগুপ্ত এই চিঠি দেন। এছাড়াও সৌমিত্র খাঁ (Saumitra Khan) দাবি করেন জলকামানের জলের সঙ্গে করোনা ভাইরাস মেশানো ছিল। সে কারণেই নবান্ন অভিযানে পা মেলানো অনেকেই করোনা আক্রান্ত হচ্ছেন। তবে সৌমিত্রর দাবি নিয়ে কেউ কেউ মশকরাও শুরু করেছেন। এভাবে কী সত্যিই করোনা ভাইরাসে কেউ সংক্রমিত হতে পারেন, বিভিন্ন মহলে উঠছে সেই প্রশ্ন।