সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: আবার মাথাচাড়া দিচ্ছে করোনা ভাইরাসের (Coronavirus) দৌরাত্ম্য। চিনের (China) একাধিক শহরে লকডাউনের পাশাপাশি দক্ষিণ কোরিয়াতেও হু হু করে বাড়তে শুরু করেছে সংক্রমণ। এরই পাশাপাশি সংক্রমণের ঊর্ধ্বগতি লক্ষ করা গিয়েছে হংকংয়েও (Hong Kong)। পরিস্থিতি এমনই দাঁড়িয়েছে, করোনায় মৃতের সংখ্যা দ্রুতগতিতে বাড়তে শুরু করায় উপচে পড়েছে মর্গগুলি! বাধ্যত কন্টেনারে রাখতে হচ্ছে মৃতদেহ।
এক আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদন থেকে জানা যাচ্ছে, গত তিন মাসে হংকংয়ে ১০ লক্ষের বেশি মানুষ করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। মারা গিয়েছেন ৪ হাজার ৬০০ জনেরও বেশি। সেখানে হু হু করে সংক্রমণ ছড়াচ্ছে ওমিক্রন। জানা যাচ্ছে, বর্ষীয়ান নাগরিকরা যাঁরা টিকা নেননি, অধিকাংশ ক্ষেত্রে তাঁদেরই মৃত্যু হয়েছে।
[আরও পড়ুন: ইউক্রেন যুদ্ধ নিয়ে আন্তর্জাতিক আদালতে রাশিয়ার বিরুদ্ধে ভোট ভারতীয় বিচারপতির]
এক স্থানীয় সংবাদমাধ্যমের দাবি, কফিনের জোগানেও টান পড়েছে। আর মাত্র শ তিনেক কফিন বাকি রয়েছে। আশঙ্কা, এই সপ্তাহেই হয়তো তা শেষ হয়ে যাবে। তবে বুধবারই জানানো হয়েছে, শিগগিরি দু’টি জাহাজে কফিন আসার কথা।
জানা যাচ্ছে, শহরের অধিকাংশ মর্গই উপচে পড়ছে মৃতদেহে। সেই কারণেই শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত কন্টেনারে রাখতে হচ্ছে মরদেহ। দেখা গিয়েছে, পিপিই কিট পরিহিত কর্মীরা ট্রাক থেকে দল বেঁধে মৃতদেহ নামাচ্ছে। মাসখানেক আগে গোটা পৃথিবীতেই কোভিডের (Covid) দাপট কমে এসেছিল। কিন্তু গত এক সপ্তাহে তা ফের হুড়মুড় করে বাড়তে শুরু করেছে। মনে করা হচ্ছে, এর পেছনে রয়েছে ওমিক্রনের (Omicron) অতিসংক্রামক ভ্যারিয়েন্ট বিএ.১ এবং বিএ.২।
[আরও পড়ুন: ভূমিকম্পের আফটার শকে বিধ্বস্ত জাপান, লাইনচ্যুত বুলেট ট্রেন, বিদ্যুৎহীন ২০ লক্ষ]
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার এক কর্তার বক্তব্য, “বিধিনিষেধ শিথিল করার কারণে বাড়াবাড়ি সংক্রমণ শুরু হয়েছে, এইসঙ্গে পর্যাপ্ত কোভিড পরীক্ষাও হচ্ছে না। অর্থাৎ, যে পরিস্থিতি আমরা দেখছি মহামারীর প্রকৃতি অবস্থা তারচেয়েও ভয়াবহ।”
হু-র তরফে জানানো হয়েছে, গত সপ্তাহের তুলনায় বিশ্বজুড়ে ৮ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে কোভিড সংক্রমণ। মার্চ মাসের ৭-১৩ তারিখের মধ্যে আক্রান্ত হয়েছেন ১ কোটিরও বেশি মানুষ, এই সময়ে গোটা পৃথিবীতে করোনায় মৃতের সংখ্যা ৪৩ হাজার। জানুয়ারি মাসের পর এতখানি বাড়বাড়ন্ত দেখা যায়নি। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার বক্তব্য, এটা হিমশৈলের চূড়া মাত্র, উপযুক্ত ব্যবস্থা না নিলে আগামীতে আরও বড় বিপদ অপেক্ষা করছে।