সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ভারতে আছড়ে পড়েছে করোনা সংক্রমণের দ্বিতীয় ঢেউ। অক্সিজেনের অভাবে চলছে হাহাকার। স্বাধীনতার সাত দশক পরেও স্বাস্থ্যব্যবস্থার ‘কঙ্কালসার’ দশার যে উন্নতি হয়নি, তা স্পষ্ট। এহেন পরিস্থিতিতে মহামারী মোকাবিলায় ভারতের পাশে থাকার বার্তা দিল ফ্রান্স (France)।
[আরও পড়ুন: মেহুল চোকসিকে ফেরত নিতে নারাজ অ্যান্টিগা, ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে ফেরানো হতে পারে ভারতে]
সংবাদ সংস্থা এএনআই সূত্রে খবর, দেশে করোনা পরিস্থিতি নিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে ফোন কথা বলেছেন ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ। আলোচনায় মহামারী মোকাবিলায় বহুমুখী পদক্ষেপ করা নিয়ে কথা হয় দুই রাষ্ট্রপ্রধানের মধ্যে। ভারতে নিযুক্ত ফরাসি রাষ্ট্রদূত জানিয়েছেন, কোভ্যাক্স প্রকল্পের অন্তর্গত টিকার উৎপাদন, বিক্রি ও অনুদানের বিষয়টিও উঠে আসে মোদি ও ম্যাক্রোঁর আলোচনায়। বলে রাখা ভাল, চলতি বছরের শুরুর দিকে ভারতে করোনা পরিস্থিতি কিছুটা নিয়ন্ত্রণে এসেছিল। সেই সময় বিশ্বের বেশ কয়েকটি দেশে করোনার টিকা, অক্সিজেন ও ওষুধের জোগান দেয় ভারত। তারপর বিগত মাস দুয়েক থেকে দেশে পরিস্থিতি খারাপ হতে শুরু করে। হু হু করে বেড়ে যায় আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যা। এহেন পরিস্থিতিতে এবার নয়াদিল্লির পাশে দাঁড়িয়েছে আমেরিকা, রাশিয়া, ফ্রান্স, ইংল্যান্ড-সহ গোটা বিশ্ব।
এদিকে, ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলে কৌশলগত সহযোগিতা বাড়িয়ে তোলা নিয়েও এদিন আলোচনা করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ। বিশ্লেষকদের মতে, চিনকে নজরে রেখেই প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে প্রতিরক্ষা মজবুত করে তুলতে চাইছে নয়াদিল্লি ও প্যারিস। উল্লেখ্য, মে মাসে ইউরোপ সফরে গিয়ে ফ্রান্সে যাবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Narendra Modi)। ৮ মে ভারত-ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের সম্মেলনে যোগ দিতে পর্তুগাল যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী। সেখান থেকেই তাঁর ফ্রান্সে যাওয়ার কথা রয়েছে। শেষ বার ২০১৯ সালে ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁর আমন্ত্রণে জি-সেভেন সম্মেলনে অংশ নেন তিনি। তার পর ভারত-ফ্রান্সের সামরিক ও কূটনৈতিক সম্পর্ক আরও দৃঢ় হয়েছে। করোনা (Coronavirus) কালে যা অন্য মাত্রা পেয়েছে।