shono
Advertisement

চেনা ভেষজেই কামাল, করোনা-নিরাময়ের চিনা দাবিতে শোরগোল

এই ওষুধে অনেকেই সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন, দাবি চিনা বিজ্ঞানীদের। The post চেনা ভেষজেই কামাল, করোনা-নিরাময়ের চিনা দাবিতে শোরগোল appeared first on Sangbad Pratidin.
Posted: 11:29 AM Mar 26, 2020Updated: 10:22 PM Apr 06, 2020

গৌতম ব্রহ্ম: সিটি স্ক্যান রিপোর্টে পরিষ্কার, ধাপে ধাপে কমেছে ফুসফুসের সংক্রমণ। ওষুধ? জটিল বা দুর্লভ কিছু নয়। এর উপাদান বলতে আদা, দারচিনি, যষ্ঠীমধুর মতো পরিচিত ১২টি মশলা। যা দিয়ে তৈরি করা হয়েছে পাঁচন। তা খেয়েই নাকি চাঙ্গা হয়ে যাচ্ছেন করোনা পজিটিভ রোগীরা। সংক্রমণ কমছে ফুসফুসের। এমনই দাবি করছেন চিনের তিন বিজ্ঞানী, যে দেশ থেকে ছড়িয়ে সারা বিশ্বকে মৃত্যুর আতঙ্কে আপাতত সিঁটিয়ে রেখেছে নোভেল করোনা ভাইরাস। কীভাবে খোঁজ মিলল এই দাওয়াইয়ের?

Advertisement

ওই গবেষকদের বক্তব্য, চিনারা প্রথাগত বা প্রচলিত ওষুধে বিশ্বাসী। যার প্রায় সিংহভাগই ভেষজ। এগুলো মানবশরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। এমন প্রায় বারোটি ভেষজকে বেছে নিয়ে একটি ক্বাথ বা পাঁচন বানিয়ে প্রয়োগ করা হয়েছিল কোভিড-১৯ পজিটিভ হওয়া ৭০১ জনের উপর। তাতেই ম্যাজিকের মতো কাজ হয়েছে বলে ওঁদের দাবি। ‘হেইলংজিয়াং ইউনিভার্সিটি অফ চাইনিজ মেডিসিন’-এর তিন বিজ্ঞানী জান-লিং রেন, আই হুয়া ঝাং এবং ঝি-জান ওয়াংয়ের সম্মিলিত রিসার্চ পেপারটি ৪ মার্চ প্রকাশিত হয়েছে ‘এলসভিয়ার’ নামক মেডিক্যাল জার্নালে। গবেষণায় আর্থিক সহযোগিতা করেছে ‘ভলান্টারি রিসার্চ প্রজেক্ট অফ ২০১৯-এনকোভিড নিউমোনিয়া।’ গবেষণাপত্রে বলা হয়েছে, ২০০৩-এ সার্স সংক্রমণের সময়ও এই ক্বাথ খাইয়ে অনেক রোগীকে সুস্থ করা হয়েছিল। এবার সেই ট্রায়াল চালানো হয় ৭০১ জন করোনা পজিটিভের উপর। ১৩০ জন দ্রুত সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরে গিয়েছেন। একান্নটি ক্ষেত্রে উপসর্গগুলি গায়েব হয়ে গিয়েছে। ২৬৮টি ক্ষেত্রে রোগীর শারীরিক অবস্থার উন্নতি হয়েছিল। ২১২টি ক্ষেত্রে নতুন করে শারীরিক অবস্থার অবনতি হয়নি। দেখা যায়, ৯০ শতাংশ রোগীর ক্ষেত্রেই দারুণ কাজ করেছে যষ্ঠীমধু, দারচিনি, আদার ক্বাথ। দাবির সপক্ষে রোগীদের ফুসফুসের সিটি স্ক্যান রিপোর্টও প্রকাশে্য আনা হয়েছে। তাতে দেখা যাচ্ছে, রোগীদের ফুসফুসের সংক্রমণ ধাপে ধাপে কমিয়ে দিচ্ছে আয়ুর্বেদ ওষুধ। স্বাভাবিক ভাবেই বিশ্বজুড়ে শোরগোল পড়েছে। ‘সায়েন্স ডায়রেক্ট’ জার্নালেও পেপারটি ‘আপলোড’ করা হয়েছে।

[আরও পডুন: রিপোর্টে করোনা পজিটিভ, সংক্রমণ ছড়ানোর ভয়ে আত্মঘাতী নার্স]

তাহলে কি করোনা সারানোর এটাই সঠিক দাওয়াই?

বিশেষজ্ঞদের মত, করোনা সংক্রমণের সঙ্গে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতার সরাসরি সম্পর্ক। সুতরাং ইমিনোমডিউলেটর ওষুধ বা পথ্য কার্যকর হতেই পারে। তবে আরও বিশদ গবেষণার প্রয়োজন। জার্নালটি নিয়ে ইতিমধ্যেই আলোচনা শুরু করেছেন ভারত সরকারের আয়ুশ মন্ত্রকের কর্তারা। মত নেওয়া হচ্ছে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের। পশ্চিমবঙ্গের আয়ুর্বেদ পরিষদের সহ-সভাপতি ডা. প্রদ্যোতবিকাশ কর মহাপাত্র বলেন, “জীবাণু নিয়ন্ত্রণে আয়ুর্বেদের অভিজ্ঞতা পাঁচ হাজার বছরের। তারই একাংশ প্রয়োগ করেছে চিনারা। এই ওষুধ প্রয়োগের জন্য ভারত সরকার নীতি তৈরি করুক। রোগীদের চিহ্নিত করুক। আমাদের পরিষদ সবরকম সহযোগিতা করবে।” এপ্রসঙ্গে কেন্দ্রীয় আয়ূশ সচিব ডাঃ রাজেশ কোটেচা বলেন, “আমরা বিষয়টি খতিয়ে দেখছি। বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ নেওয়া হচ্ছে। বিষয়টির সত্যতা প্রমাণিত হলে কোভিড-১৯ মোকাবিলায় আয়ুর্বেদিক প্রোটোকল তৈরি করা হবে।” ডাঃ বিশ্বজিৎ ঘোষ বলেন, মর্ডান মেডিসিনকে সুযোগ দেওয়া হয়, আয়ুর্বেদকেও দেওয়া হোক। মহামারি মোকাবিলায় আগেও আয়ুর্বেদ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিয়েছিল।” 

The post চেনা ভেষজেই কামাল, করোনা-নিরাময়ের চিনা দাবিতে শোরগোল appeared first on Sangbad Pratidin.

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement