সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ব্যুরো: সোমবার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পুরসভাগুলিকে ধমক দেওয়ার পর ঠিকমতো ২৪ ঘণ্টা কাটেনি। মমতার কড়া ধাওয়াইয়ের পরেই অ্যাকশনে নামল রাজ্যের বিভিন্ন পুরসভা। কলকাতা, বিধাননগর, হুগলি থেকে কোচবিহার কড়া পদক্ষেপ নিতে দেখা গেল বড় পুরসভাগুলিকে। কোথাও জঞ্জাল পরিষ্কার, কোথাও জবরদখল করে থাকা দোকানদারদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা, আবার কোথাও অবস্থা পরিবর্তন করতে জায়গা পরিদর্শন করলেন প্রশাসনিক কর্তরা।
মঙ্গলবার, সকাল থেকে কড়া পদক্ষেপ নিতে দেখা যায় বিধাননগর পুলিশকে। সল্টলেক সেক্টর ৩ এ ফুটপাঠ দখল করে থাকা অনেকগুলি দোকান জেসিবি চালিয়ে ভেঙে দেওয়া হয়। একই ভাবে কলকাতায় এসএসকেএম হাসপাতালের আশেপাশে ফুটপাত দখলমুক্ত করতে অভিযান চালায়। বাদ যায়নি কোচবিহার পুরসভাও। দিনহাটা হাসপাতাল চত্বরে প্রায় দুই মাস ধরে জমে থাকা জঞ্জাল পরিষ্কারে নামে তারা। জেসিবি নিয়ে এসে আর্বজনা তুলতে দেখা গিয়েছে।
[আরও পড়ুন: ভরদুপুরে খড়গপুরে তৃণমূলের কার্যালয় লক্ষ্য করে পরপর ৫ রাউন্ড গুলি! জখম কর্মী]
এছাড়াও, নড়েচড়ে বসে হুগলি জেলা প্রশাসনও। সপ্তগ্রাম বিধানসভার অন্তর্গত ত্রিবেণী, বাঁশবেড়িয়া ও ইসলামপারা হল্ট ষ্টেশন সংলগ্ন এলাকায় বর্ষায় জল জমে যায়। ফলে কাদাজলের মধ্যেই যাত্রীদের ট্রেন ধরতে হয় বলে অভিযোগ। সেই কথা মাথায় রেখে জল জমে যাওয়া এলাকাগুলি সরেজমিনে পরিদর্শনে এলেন রেল আধিকারিক, কেএমডিএ ও হুগলির প্রশাসনের কর্তারা। উপস্থিত ছিলেন সদর মহকুমা শাসক স্মিতা স্যানাল শুল্কা ও অন্যান্য আধিকারিকরা।
সোমবার মুখ্যমন্ত্রী বেশিরভাগ পুরসভাগুলিকে তুলোধনা করেন। তালিকাটি লম্বা। নাগরিক পুরসভায় কোনও গাফিলতি থাকলে তা যে তিনি মেনে বরদাস্ত করবেন না তা বুঝিয়ে দিয়েছেন। তারপরেই এই পদক্ষেপ।