সুনীপা চক্রবর্তী, ঝাড়গ্রাম: একই দড়িতে একই গাছে গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মঘাতী হল প্রেমী যুগল। বছর ষোলোর স্কুল ছাত্রী ও তার প্রমিকের দেহ উদ্ধার ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়ায়। সোমবার সকালে ঝাড়গ্রামের নয়াগ্রাম থানার খড়িকামাথানি মার্কেট কমপ্লেক্স সংলগ্ন জঙ্গল এলাকায় প্রেমিক যুগলের দেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
এদিন সকাল আটটা নাগাদ স্থানীয় বাসিন্দার জঙ্গলে কাঠ, পাতা সংগ্রহ করতে গিয়ে গাছের একই ডালে ঝুলন্ত দেহ দু’টি দেখতে পান। তারাই খবর দেয় নায়াগ্রাম থানার পুলিশকে। পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে দেহ দুটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ঝাড়গ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠিয়ে দেয়। পুলিশ জানিয়েছে মৃত প্রেমিকের নাম সঞ্জয় মল্লিক (২৫)। বাড়ি সাঁকরাইল থানার কুস্তড়িয়া গ্রামে। বছর ষোলোর প্রেমিকার বাড়ি ওই থানা এলাকার কালোসানা গ্রামে।
[আরও পড়ুন: ‘দুজন বিচারপতি বসে সিদ্ধান্ত নিতে পারেন না’, সমলিঙ্গ বিবাহের বিরুদ্ধে সরব BJP সাংসদ]
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, সাঁকরাইল থানার রোহিনী বালিকা বিদ্যালয়ের ছাত্রীর সাথে পাশের গ্রামের সঞ্জয় মল্লিকের প্রেমের সম্পর্ক ছিল। তারা বিয়ে করে সংসার করতে চেয়েছিল। পুলিশ সূত্রে খবর, ৯ দিন আগে বাড়ি থেকে পালিয়ে বিয়ে করে তারা। যেহেতু প্রেমিকা এখনও নাবালিকা তাই দুই পরিবার থেকে বিয়ে মেনে নেয়নি। যার ফলে দুজনে বাড়ি থেকে পালিয়ে যায়। এদিকে গত ১৪ ডিসেম্বর ওই কিশোরীর পরিবারের পক্ষ থেকে সাঁকরাইল থানায় অপহরণের অভিযোগ দায়ের করা হয়। পুলিশের একটি সূত্র থেকে জানা গিয়েছে, রবিবার মেয়েটি তার বাড়িতে ফোন করে বলেছিল বাড়িতে ফিরে যেতে চায়। পরিবারের পক্ষ থেকে তাদের ফিরে আসতে বলা হয়েছিল বলে পুলিশ জানিয়েছে।
পরিবারের লোকজনের জানতে পারে, প্রেমী যুগল নয়াগ্রাম থানার খড়িকামাথানি এলাকায় রয়েছে। রবিবার বিকেলে মেয়ের বাড়ির সদস্যরা খড়িকামাথানি এলাকায় পৌঁছলে দুজনে মার্কেট কমপ্লেক্সের পাশে জঙ্গলে লুকিয়ে পড়ে বলে খবর পুলিশ সূত্রে। এদিন সকালে ওই জঙ্গলের একটি গাছে ঝুলন্ত অবস্থায় দুজনকে দেখতে পান স্থানীয়রা। পুলিশ দু’টি পৃথক অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু করেছে। এই বিষয়ে গোপীবল্লভপুরের এসডিপিও মাকওয়ানা মিত কুমার সঞ্জয় কুমার বলেন, “এদিন নয়াগ্রামে দু’টি ছেলে মেয়ের দেহ উদ্ধার হয়। প্রাথমিকভাবে মনে করা হচ্ছে এটি আত্মহত্যা। ১৪ ডিসেম্বর নয়াগ্রাম থানায় মেয়েটির পরিবারের পক্ষ থেকে অপহরণের অভিযোগ দায়ের করা হয়েছিল। মেয়েটি নাবালিকা। কেন এই ঘটনা ঘটল পুলিশ তদন্ত করে দেখছে।”