শংকরকুমার রায়, রায়গঞ্জ: শেওড়া গাছের ডালে যুগলের ঝুলন্ত দেহ (Hanging Body) ঘিরে তীব্র রহস্য ছড়াল উত্তর দিনাজপুরের কালিয়াগঞ্জে। ধনকৈল্য পঞ্চায়েতের দৌলতবাটি এলাকার এই ঘটনা রবিবার জানাজানি হতেই কৌতূহলীদের ভিড় কার্যত উপচে পড়ে চত্বরে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় পুলিশ। জোড়া ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য রায়গঞ্জ মেডিক্যাল হাসপাতালের মর্গে পাঠায় পুলিশ।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, কালিয়াগঞ্জের (Kaliaganj) মৃত যুবকের নাম প্রিয়নাথ বর্মন, বয়স ২১ বছর। যুবতীর নাম অনুপমা রায়, তাঁর নাম ১৮ বছর। সম্পর্কে প্রেমিক-প্রেমিকা (Lovers) ছিল বলে স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি। তরুণের বাড়ি স্থানীয় দৌলতবাটি গ্রামে এবং তরুণী রাধিকাপুর পঞ্চায়েতের বাগচা গ্রামের বাসিন্দা ছিল। স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন, এদিন সকালে একটি গাছের ডালে ঝুলে থাকা দু’জনের মৃতদেহ প্রথম তাঁদেরই নজরে আসে। মর্মান্তিক দৃশ্য সরেজমিনে পরখ করতে স্থানীয়দের মধ্যে রীতিমতো হুলুস্থুলু বেঁধে যায়। খবর পেয়ে তড়িঘড়ি পৌঁছে ঘটনার তদন্ত শুরু করে কালিয়াগঞ্জের পুলিশ।
[আরও পড়ুন: ‘এক দেশ এক ভোট যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামোয় আঘাত’, তোপ রাহুলের]
তবে মৃতের পরিবার সূত্রে জানা যায়, পরস্পরের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরেই প্রেম-ভালবাসার নিবিড় সম্পর্ক ছিল। এই জুটিকে অনেকদিন ধরেই একসঙ্গে রাধিকাপুর (Radhikapur) সীমান্তের টাঙ্গন নদীর ধারের পার্কে ঘুরতে ফিরতে দেখা গিয়েছে বলে স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি। এমনকী শনিবার দুপুরে রাধিকাপুর স্টেশনেও একসঙ্গে প্ল্যাটফর্মের চেয়ারে তাঁদের দেখা গিয়েছে। কিন্তু তারপর যে সারাজীবনের জন্য দু’জনে একসঙ্গেই হারিয়ে যাবে, এটা হয়ত দুঃস্বপ্নেও কল্পনা করতে পারেননি তাঁরা কেউ। এমনই জানাচ্ছেন স্থানীয় চায়ের দোকানদার হরি ঘোষ।
[আরও পড়ুন: উপনির্বাচনের আগে ধূপগুড়ি মহকুমা ঘোষণার আশ্বাস, অভিষেককে নিয়ে কমিশনে নালিশ BJP-র]
অন্যদিকে, শনিবার সকালে বাড়ি থেকে বেরিয়েছিল ওই তরুণী। তারপর আর বাড়ি ফেরেনি। রাতে খোঁজাখুঁজি করেও হদিশ মেলেনি বলে মৃতার পরিবারের দাবি। শেষ পর্যন্ত এদিন যুগলের ঝুলন্ত দেহ মেলে।