সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: এলাকার বিধবা তরুণী। কিন্তু ভালবাসা যে সেসব মানে না। আচমকাই তাঁর প্রতি বুকের কোণে জন্মেছিল ভালবাসা। তবে বিধবা মহিলার সঙ্গে প্রেম যে পরিবার কিংবা প্রতিবেশীরা ভাল চোখে দেখবেন না, তা জানত ওই যুগল। তাই কাউকে কিছু না জানিয়েই বিয়ে করে ফেলেন তাঁরা। কিন্তু দাম্পত্য জীবন দীর্ঘস্থায়ী হল না। পরিবর্তে বিয়ের ৩০ মিনিটের মধ্যেই একই ওড়নায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করলেন নবদম্পতি। এই ঘটনায় বাঁকুড়ার (Bankura) ইন্দাসের বনপুকুর গ্রামে নেমেছে শোকের ছায়া।
আগমনী বাগদি নামে ওই তরুণীর বাপের বাড়ি বাঁকুড়ার রসুলপুর শেখ পাড়ায়। বছর ছয়েক আগে দুই পরিবারের মতে ইন্দাসের বনপুকুর গ্রামের এক যুবকের সঙ্গে বিয়ে হয় তাঁর। বেশ সুখেরই ছিল দাম্পত্য জীবন। কিন্তু আচমকাই অসুস্থ হয়ে পড়েন আগমনীর স্বামী। মাসছয়েক আগে অসুখই প্রাণ কাড়ে তাঁর। তারপর থেকে একা একাই দিন কাটছিল বিধবা তরুণীর। হঠাৎই প্রসেনজিৎ মাঝি নামে গ্রামেরই এক যুবক তাঁর জীবনে চলে আসে। দু’জনের মধ্যে ধীরে ধীরে বন্ধুত্ব তৈরি হয়। ক্রমেই একে অপরের কাছাকাছি চলে আসেন তাঁরা। ঘনিষ্ঠতা বাড়তে থাকে। বেশ কয়েকবার সহবাসও করেন তাঁরা।
[আরও পড়ুন: আসানসোলে ফের শুটআউট, শুনশান রাস্তায় পড়ে ঠিকাদারের রক্তাক্ত দেহ]
তারপর প্রসেনজিৎ এবং আগমনী সিদ্ধান্ত নেন বিয়ে করবেন। তবে পরিবার এবং প্রতিবেশীরা এই সম্পর্ক যে মানবে না তা জানতেন ওই যুগল। তাই কাউকেই সিদ্ধান্তের কথা জানাননি তাঁরা। পরিবর্তে নিজেদের পরিকল্পনামতো শুক্রবার বাড়ি ছেড়ে পালিয়ে যান দু’জনে। গোপনে বিয়েও করে ফেলেন। কিন্তু পরিজনেরা বিয়ের কথা জানতে পারলে কী বলবে, এই ভেবে আকূল তাঁরা। সেই মানসিক চাপে একসঙ্গে জীবন শেষ করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন প্রসেনজিৎ এবং আগমনী। বিয়ের আধঘণ্টার মধ্যেই দু’জনে একই ওড়নায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করেন। স্থানীয়রাই প্রথমে তাঁদের ঝুলন্ত দেহ দেখতে পান। পড়ে পুলিশ খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয়। দেহ দু’টি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠানো হয়েছে। পুলিশ ইতিমধ্যেই নিহতদের পরিবারের লোকজনের সঙ্গে কথা বলছে।
[আরও পড়ুন: উচ্চমাধ্যমিকে ৭৫% নম্বর করোনায় মৃত শুভ্রজিতের, রেজাল্ট দেখে ভেঙে পড়লেন মা-বাবা]
The post আধঘণ্টায় শেষ দাম্পত্য জীবন, বিয়ের পর একই ওড়নার ফাঁসে আত্মঘাতী নবদম্পতি appeared first on Sangbad Pratidin.