সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: কুণাল ঘোষের আবেদনে সাড়া। শুভেন্দুর বিরুদ্ধে কাঁথি পুরসভা নিয়ে সারদাকর্তার লেখা চিঠি সিবিআইকে তদন্তের জন্য পাঠানোর নির্দেশ দিল আদালত।
কিছুদিন আগেই সারদা (Sardha) কর্তা অভিযোগ করেছিলেন, বহুতল নির্মাণের জন্য কাঁথি পুরসভায় ৫০ লক্ষ টাকা জমা করেছিলেন তিনি। লক্ষ-লক্ষ টাকা খরচ করে লেবার হাটও তৈরি করেছিলেন। তার পরেও বহুতলের প্ল্যান পাশ করাননি শুভেন্দু। সারদাকর্তার দাবি ছিল, “শুভেন্দু অধিকারী অনেকভাবে টাকা তুলেছে। কন্টাইতে (কাঁথি) আমাদের একটা হাইরাইজ (বহুতল) করার জন্য কাঁথি পুরসভায় ৫০ লক্ষ টাকা জমা করেছিলাম। সমস্ত কাজকর্ম করালেন। লেবার হাটের কাজ যখন শেষ করলাম তারপরেও তিনি আমাদের প্ল্যান পাশ করাননি।” সুদীপ্ত সেনের আরও দাবি, “আগেও ৯০ লক্ষ টাকা নিয়েছিলেন। কন্টাই পুরসভায় টাকা জমা করেছিলাম।” পরবর্তীতে নিম্ন আদালতে হাজিরা দিতে গিয়ে শুভেন্দু অধিকারীকে কাঠগড়ায় তুলে মুখ খোলেন সারদাকর্তা সুদীপ্ত সেন। প্রেসিডেন্সি সংশোধনাগার থেকে প্রিজনার্স পিটিশনে তিনি ওয়েলফেয়ার অফিসারের মাধ্যমে চিঠি দিয়ে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী কীভাবে, কত টাকা আদায় করেছেন, তার বিস্তারিত উল্লেখও করেন।
[আরও পড়ুন:জুনের শুরুতেই রাজ্যের একাধিক জেলায় তাপপ্রবাহ, সতর্ক করল হাওয়া অফিস]
সিএমএম এজলাসে সারদাকর্তার লেখা চিঠির উপর তদন্তের দাবিতে পিটিশন করেছিলেন কুণাল ঘোষের আইনজীবী অয়ন চক্রবর্তী। আদালত শুনানির পর বিষয়টি সিবিআইকে পাঠানোর সিদ্ধান্ত জানিয়েছে। প্রসঙ্গত, এ বিষয়ে তৃণমূলের তরফে মুখপাত্র তথা রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ আগে বলেছিলেন, ‘‘সুদীপ্ত সেন যে কাঁথি পুরসভাকে ব্যাঙ্ক ড্রাফট দিয়েছিলেন, তার প্রমাণ ইতিমধ্যেই মিলেছে। আর শুভেন্দু নিজে যথেষ্ট প্রভাবশালী। উনি শুধু বিরোধী দলনেতাই নন, আগাম বলে দেন কার বাড়িতে কবে সিবিআই তদন্ত করতে যাবেো। উনি সাংসদ ছিলেন, এখন কেন্দ্রের শাসকদলের নেতা, তাই তদন্তে প্রভাব খাটাতেই পারেন। আমাদের একটাই দাবি, রাজ্য পুলিশ শুভেন্দুকে অবিলম্বে গ্রেফতার করলে সুষ্ঠুভাবে তদন্ত চলবে।’’