স্টাফ রিপোর্টার: চলতি মাসের শেষেই কলকাতায় আসছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। শাহর সফরের মধ্যেই কি নতুন রাজ্য কমিটির নাম ঘোষণা করা হবে। তা নিয়েই জল্পনা শুরু হয়েছে বঙ্গ বিজেপিতে। যদিও দলীয় সূত্রের খবর, নয়া কমিটি ঘোষণার সম্ভাবনা শাহর সফরের পরেই। আর নতুন কমিটিতে যাঁরা আসছেন শাহর উপস্থিতিতে বর্ধিত রাজ্য কমিটির বৈঠকে তাঁদেরও ডাকা হবে। ইতিমধ্যেই নতুন রাজ্য কমিটির নামের চূড়ান্ত তালিকা দিল্লিতে জমা করে দিয়েছেন রাজ্য সভাপতি শমীক ভট্টাচার্য। নতুন রাজ্য কমিটি ঘোষণা হলে বাদ পড়াদের ক্ষোভের একটা আশঙ্কা রয়েছে। তাই ঘোষণার সময়টা বুঝেসুঝেই করতে চাইছে কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব। ২৯ ডিসেম্বর রাতে কলকাতায় আসার কথা অমিত শাহর।
৩০ ও ৩১ ডিসেম্বর একাধিক সাংগঠনিক কর্মসূচি রয়েছে তাঁর। আবার অমিত শাহর সফরকে ঘিরে এক অভিনব পরিকল্পনা নিয়েছে বঙ্গ বিজেপির যুব মোর্চা। অমিত শাহর কনভয়ের সামনে ও পিছনে বাইক মিছিল যাবে। চার থেকে পাঁচ হাজার বাইক থাকবে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কনভয়ের সঙ্গে। অমিত শাহকে নিয়ে জনসংযোগ ও প্রচারের এক নয়া কৌশল বিজেপির। কলকাতা, দুই ২৪পরগনা ও হাওড়া-সহ একাধিক সাংগঠনিক জেলাকে এই মিছিল সংগঠিত করার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। ২৯ তারিখ রাতে কলকাতা বিমানবন্দরে শাহ নামার পর সেখান থেকে নিউটাউন পৌঁছনো এবং পরদিন তিনি সল্টলেক বিজেপি দপ্তর ছাড়াও যেখানে যেখানে দলীয় কর্মসূচিতে যাবেন সেখানে তাঁর কনভয়ের সঙ্গে এই বাইক মিছিল হবে।
এদিকে, শাহ আসার আগেই আজ বঙ্গ বিজেপির আদি নেতাদের পুনর্মিলন উৎসব হতে চলেছে ন্যাশনাল লাইব্রেরির অডিটোরিয়ামে। আজ, ২৫ ডিসেম্বর প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী প্রয়াত অটলবিহারী বাজপেয়ীর জন্মদিনে দলের বসে যাওয়া, বাদ যাওয়া পুরনো নেতাদের সভা হতে চলেছে এই পুনর্মিলন উৎসবে। যেখানে কেন্দ্রীয় নেতা সুনীল বনসল, রাজ্য সভাপতি শমীক ভট্টাচার্য থাকবেন। বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীকেও আমন্ত্রণ করা হয়েছে। মূলত বনসল ও শমীকের নির্দেশেই দলের পুরনো নেতাদের ছাব্বিশের ভোটের আগে পুরনোদের সক্রিয় করে তোলার লক্ষ্যেই তাঁদের একত্র করার কাজ শুরু হচ্ছে রাজ্যস্তরে আজকের এই সভার মধ্য দিয়ে। প্রথমে মধ্যাহ্নভোজন ও তারপর শুরু হবে সভা।
এই সভার আয়োজনের অন্যতম দায়িত্বে রয়েছেন বঙ্গ বিজেপির প্রাক্তন রাজ্য সহ-সভাপতি প্রতাপ বন্দ্যোপাধ্যায়। যাঁরা ২০২১ সালে দলের প্রার্থী ছিলেন, আগের রাজ্য কমিটির পদাধিকারী ছিলেন এবং প্রাক্তন জেলা সভাপতিদের ডাকা হয়েছে এই সভায়। যদিও বুধবার সন্ধ্যা পর্যন্ত খবর, এই পুরনোদের সভাতেও ডাক পাননি প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। যদি প্রাক্তন কার্যকর্তাদের ডাকা হচ্ছে তাহলে কেন দিলীপকে ডাকা হয়নি তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে পুরনোদের একাংশ। এদিকে, এই পুরনোদের মিলন উৎসবে (আমন্ত্রণ পত্রে লেখা হয়েছে বিশেষ সম্পর্ক অভিযান) রাজ্য বিজেপির বর্তমান ক্ষমতাসীন শিবিরের নেতাদের একাংশ যথেষ্ট চাপে। কোন পুরনোরা সভায় যাবেন সেদিকে দলের ক্ষমতাসীন শিবিরের একাংশের নজর রয়েছে বলে খবর। আজ, প্রায় দেড় হাজার জনের উপস্থিত থাকার কথা সভাস্থলে।
