সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: উপার্জনের যোগ্যতা আছে কিন্তু আয় করেন না। এমন স্ত্রী স্বামীর কাছে খোরপোশ দাবি করতে পারেন না। বিচ্ছেদের একটি মামলায় এমনটাই পর্যবেক্ষণ দিল্লি হাই কোর্টের (Delhi High Court)। খোরপোশের ক্ষেত্রে সাধারণত স্ত্রীর পক্ষে রায় যায়। যে কোনও উপায়ে অর্থের যোগান দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয় স্বামীকে। এক্ষেত্রে খানিক ভিন্ন মন্তব্য করল আদালত।
সম্প্রতি দিল্লি হাই কোর্টে এক যুবক খোরপোশ কমানোর আবেদন করেছিলেন। পরিবার আদলত তাঁকে মাসে ৩০ হাজার টাকা করে খোরপোশের নির্দেশ দিয়েছিল। যা তার পক্ষে দেওয়া সম্ভব নয় বলে জানান তিনি। পাশাপাশি তিনি জানান, তাঁর স্ত্রী উচ্চশিক্ষিতা। তিনি আগে চাকরি করতেন। কিন্তু এখন কোনও কাজ করেন না। ইচ্ছে করলে তিনি নিজেই আয় করতে পারেন।
[আরও পড়ুন: ব্রাজিল-আর্জেন্টিনা ম্যাচে রণক্ষেত্র মারাকানা, পুলিশের লাঠি, প্রতিবাদে মাঠ ছাড়লেন মেসি]
বিবাহ বিচ্ছেদের মামলায় যুবকের আইনজীবী আদলতকে জানান, মাসিক ৩০ হাজার টাকা অনেক বেশি। মক্কেলের মাসিক বেতন ৫৬,৪৯২ টাকা। বাড়িতে বৃদ্ধ বাবা-মা আছেন। বোনেরা রয়েছেন। সবার দায়িত্ব নিতে হয়। তা ছাড়া, একটি ঋণ রয়েছে। মাসে মাসে সুদ গুনতে হয়। এমতাবস্থায় কীভাবে মক্কেল এতগুলি টাকা দেবেন? এইসঙ্গে জানান, তাঁর মক্কেলের স্ত্রী দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক। তিনি একটি হাসপাতালের রিসেপশনে কাজও করতেন। বেতন পেতেন ২৫ হাজার টাকার আশপাশে। তিনি উপার্জনক্ষম।
[আরও পড়ুন: অবশেষে যুদ্ধবিরতির ঘোষণা গাজায়! হামাসের সঙ্গে চুক্তি ইজরায়েলের]
এর পরেই বিচারপতিদের পর্যবেক্ষণ, উপার্জনের যোগ্যতা আছে কিন্তু আয় করেন না। এমন স্ত্রী স্বামীর কাছে খোরপোশ দাবি করা সমীচীন নয়। পরে দুপক্ষের সঙ্গে কথা বলে খোরপোশ ৩০ হাজার থেকে কমিয়ে ২১ হাজার টাকার করার নির্দেশ দেয় আদালত। তবে প্রতি বছর দ্রব্য মূল্য বৃদ্ধির কারণে দেড় হাজার টাকা করে খোরপোশ বাড়বে বলেও জানানো হয়েছে।