সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: করোনা আক্রান্ত তাঁরা। করোনা পরীক্ষার রিপোর্ট সংক্রান্ত কাগজপত্র তাঁদের হাতে। তা সত্ত্বেও হাসপাতালের সামনে দাঁড়িয়েই কেটে গেল বহুক্ষণ। মিলল না পরিষেবা। বাধ্য হয়ে পুলিশকেও ফোন করেন করোনা আক্রান্ত পরিবারের এক সদস্য। তবে তাতেও প্রথমে কোনও লাভ হয়নি তাঁদের। দিল্লির লোকনায়ক হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে উঠল এমনই অভিযোগ। যদিও বেশ কিছুক্ষণ পর ওই হাসপাতালে পরিবারের তিন সদস্য ভরতি হওয়ার সুযোগ পান।

চুরিওয়ালনের বাসিন্দা ওই ব্যক্তি বলেন, “বাড়ি থেকে হেঁটে ২ মাসের একটি সন্তান-সহ মোট সাতজন আমরা লোকনায়ক হাসপাতালে আসি। আমরা সকলেই করোনা আক্রান্ত বলেই জানাই স্বাস্থ্যকর্মীদের। কিন্তু কোনও স্বাস্থ্যকর্মীরা আমাদের কথা শোনেননি। আমি পুলিশেও খবর দিই। জানাই আমরা হাসপাতালে এসে স্বাস্থ্যকর্মীদের সঙ্গে কথা বললেও কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। তারপর প্রায় দু’ঘণ্টা সময় গড়িয়ে যায়। তা সত্ত্বেও কেউ আমাদের সাহায্য করেনি।”
[আরও পড়ুন: চিকিৎসকদের থাকা-খাওয়ার চূড়ান্ত অব্যবস্থা, অভিযোগ পেয়ে তড়িঘড়ি পদক্ষেপ যোগী প্রশাসনের]
যদিও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে। লোকনায়ক হাসপাতাল সুপার জেসি পাসে বলেন, “আমরা হাসপাতালে মোট তিনজনকে ভরতি নিই। ওই তিনজনের অবস্থা গুরুতর। তাঁদের ভেন্টিলেশনে রাখা হয়েছে।” দিল্লির স্বাস্থ্যমন্ত্রী সত্যেন্দ্র জৈন এ প্রসঙ্গ টেনে বলেন, “শুধুমাত্র গুরুতর শারীরিক অবস্থার রোগীদের ওই করোনা হাসপাতালে ভরতি নেওয়ার কথা। রাজ্য সরকারের গাইডলাইন অনুযায়ী, তিন রকমের করোনা হাসপাতালের আমরা ব্যবস্থা করেছি। একটি হাসপাতাল শুধুমাত্র করোনায় গুরুতর অসুস্থদের জন্য, আরেকটি অল্প উপসর্গ এবং তৃতীয় হাসপাতালে উপসর্গ না থাকা সত্ত্বেও করোনা পজিটিভ রোগীদের জন্য ব্যবহার করা হবে। যদি আমরা হাসপাতাল আলাদা না করতাম তবে একই হাসপাতালে সকলে ভিড় জমালে সংক্রমণ আরও গুরুতর হওয়ার আশঙ্কা বাড়তে পারে। সাধারণ মানুষ এবং স্বাস্থ্যকর্মীদের এই তিন ধরনের হাসপাতালের গুরুত্ব সম্পর্কে বুঝতে হবে।”
The post গেটে দাঁড়িয়ে কাকুতি মিনতিই সার, করোনা রোগীকে ভরতি নিল না হাসপাতাল appeared first on Sangbad Pratidin.