সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: দশক শেষের মহামারীর ব্যাপক প্রভাব পড়বে পরবর্তী ১০ বছরেও। সবচেয়ে বেশি প্রভাবিত হবেন আর্থিকভাবে পিছিয়ে পড়া সাধারণ মানুষ। কারণ, আগামী দশকে ব্যাপক হারে বাড়বে দারিদ্র্য (Poverty)। না খেতে পেয়ে দিন কাটাবেন বহু মানুষ। রাষ্ট্রসংঘের নয়া রিপোর্ট বলছে, আগামী দশ বছরের মধ্যে বিশ্বজুড়ে আরও ২০৭ মিলিয়ন বা ২০ কোটির বেশি মানুষ দারিদ্র্যসীমার নিচে চলে যাবেন।
বিশ্বজুড়ে ব্যাপক প্রভাব ফেলেছে মহামারী করোনা ভাইরাস (COVID-19)। দেশগুলির আর্থিক অগ্রগতি থমকে গিয়েছে এই ভাইরাসের প্রকোপে। কাজ হারিয়েছেন বহু মানুষ। নতুন কর্মসংস্থান হচ্ছে না। ফলে দেশগুলির আর্থিকবৃদ্ধি, সাধারণ মানুষের জীবনযাপনের মানোন্নয়ন থমকে রয়েছে। এমন আবহে আতঙ্ক বাড়াচ্ছে রাষ্ট্রসংঘের (United Nation) রিপোর্ট।
ইউএস ডেভেলপমেন্ট প্রোগ্রামের নয়া গবেষণাপত্র বলছে, আগামী এক দশক বা দশ বছরে বিশ্বে চড়চড়িয়ে বাড়বে দারিদ্র্যের হার। আরও দরিদ্র হবেন ২০ কোটির বেশি মানুষ। ফলে গোটা বিশ্বে দারিদ্র্য রেখার নিচে অবস্থানকারী মানুষের সংখ্যা ১০০ কোটি ছাড়িয়ে যাবে। রিপোর্টে আরও বলা হয়েছে, মহামারীর প্রভাব সুদূরপ্রসারী। বিশ্বজুড়ে শোচনীয় পরিস্থিতি তৈরি করবে এই মহামারী।
[আরও পড়ুন : কূটনৈতিক চাপেও কাজ হল না, ফের কৃষকদের পাশে থাকার বার্তা দিলেন কানাডার প্রধানমন্ত্রী]
ওই রিপোর্টে আরও দাবি করা হয়েছে, পুরুষদের তুলনায় মহিলাদের পরিস্থিতি আরও খারাপ হবে। আগামী দশকে ১০২ মিলিয়ন মহিলা দারিদ্র্যসীমার নিচে চলে যাবেন। এর ফলে বিশ্বজুড়ে নারী পাচার-সহ মহিলাদের বিরুদ্ধে অপরাধও বাড়বে। একইরকম পূর্বাভাস দিয়েছে আইএমএফও। বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচির তরফেও ২০২১ সালে আরও বড় বিপদ আসছে বলে আশঙ্কা করা হয়েছিল। বলা হয়েছিল, উপযুক্ত ব্যবস্থা না নিলে দুর্ভিক্ষ হতে পারে। রাষ্ট্র সংঘের নয়া রিপোর্টেও কার্যত সেই ইঙ্গিত মিলল।
বিশেষজ্ঞদের মতে, ভ্যাকসিন আসার পর রোগকে হারিয়ে দেবে গোটা বিশ্ব। কিন্তু এর ক্ষত থেকে যাবে। যা আগামী ১০ বছর ধরে টের পাবে বিশ্ববাসী। স্বাভাবিকভাবেই এই রিপোর্ট চিন্তা বাড়িয়েছে রাষ্ট্রনায়কদের।